PM Modi-র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

ব্যুরো নিউজ,১৩ ফেব্রুয়ারি:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি.-তে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন। এই সফরটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক নীতি এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এই বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হবার পর দুই নেতার মধ্যে প্রথম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা।

PM Modi এবং Elon Musk-এর বৈঠকে ভারতে Starlink-এর প্রবেশ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা

কি কি বিষয়?

এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, অভিবাসন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। ট্রাম্প সম্প্রতি “পারস্পরিক শুল্ক” (reciprocal tariffs) নীতির ঘোষণা করেছেন, যা বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন মোড় নিতে পারে। এই নীতি অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের উপর সেই একই শুল্ক আরোপ করবে, যা সেই দেশগুলি আমেরিকান পণ্যের উপর চাপিয়ে থাকে। এই নীতি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়, কারণ ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ভারতকে “শুল্ক রাজা” এবং শুল্কের “অপব্যবহারকারী” বলে উল্লেখ করেছেন।

বাণিজ্য সংক্রান্ত উত্তেজনা ছাড়াও, অভিবাসন নিয়ে আলোচনা এই বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে এবং আরও ৮০০ জনকে শীঘ্রই ডিপোর্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত তার নাগরিকদের প্রতি মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আশ্বাস চাইছে। এছাড়াও, ভারত চাইবে যাতে পড়াশোনা, কাজ বা পর্যটনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আইনি পথগুলি  সহজ এবং সহজলভ্য থাকে।

পশ্চিমবঙ্গ বাজেট ২০২৫ এ কি কি নতুন ঘোষণা?

প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই আমেরিকান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছেন। এছাড়াও, ভারত আমেরিকান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) এবং অন্যান্য শক্তি সরবরাহ ক্রয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ইতিমধ্যেই উচ্চমানের আমেরিকান মোটরসাইকেল এবং বৈদ্যুতিক ব্যাটারির উপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে জোর

দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্কও এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ২০১৯ সালের হাউডি মোদি ইভেন্ট এবং ২০২০ সালে ট্রাম্পের আহমেদাবাদ সফরের মাধ্যমে। উভয় নেতাই চীন এবং উগ্র ইসলামকে অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখেন এবং তাদের শক্তিশালী নেতৃত্ব ও অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদী নীতির জন্য পরিচিত।চীন নিয়ে দুই নেতার আলোচনাও এই বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে একটি কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে, কিন্তু ভারতের সাথে সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে নিরপেক্ষ। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য না হুমকি, না ঐতিহ্যগত মিত্র, বরং একটি স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রেখেছে।সামগ্রিকভাবে, প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার এবং বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও অভিবাসন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সমাধান করার একটি সুযোগ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর