ব্যুরো নিউজ,৩০ এপ্রিল:কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঠিক এই সময়েই পাকিস্তানপন্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এক বিস্ময়কর দাবি—ভারতের অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান নাকি গুলি করে ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনা। এই ভুয়ো দাবির পেছনে সুপরিকল্পিত অপপ্রচার কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছে
কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে, পাক দাবি— “ভারতীয় ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো এই তথ্যে দাবি করা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সীমান্তে রাফাল বিমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় এবং সেটি বিধ্বস্ত হয়। এই দাবিকে ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনা ও বিভ্রান্তি। পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর হয়ে ওঠে যে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টির স্পষ্টীকরণ করে।
সরকারের তরফে জানানো হয়, ভারতের কোনও রাফাল বা অন্য যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়নি। পাকিস্তানপন্থী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি ও তথ্যে কোনো সত্যতা নেই। বরং যে ছবি দেখানো হচ্ছে, তা ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এক সুখোই-৩০ বিমান দুর্ঘটনার ছবি। সেই পুরনো ছবি ব্যবহার করে নতুন অপপ্রচার চালাচ্ছে পাকিস্তান, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যখন চরম উত্তেজনায় তখন রাশিয়া-চীন S-400 চুক্তি
পাশাপাশি, সরকার সাধারণ জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, এধরনের ভুয়ো তথ্য প্রচার বা শেয়ার করা আইনত দণ্ডনীয়। মিথ্যা প্রচার রুখতে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল এবং বন্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এক্স (Twitter) অ্যাকাউন্ট।
এই অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে ভারতের সামরিক সাফল্যকে খাটো করার কৌশল। পহেলগাঁওয়ের বর্বর হামলায় ২৫ জন নিরীহ পর্যটক ও একজন স্থানীয় নিহত হন, যাদের মধ্যে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়েছিল। এই ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে উঠেছে আন্তর্জাতিক অভিযোগের আঙুল। এমন সময় ভুয়ো রাফাল বিতর্ককে সামনে এনে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে চাইছে।
এই ধরনের অপপ্রচারে কান না দিয়ে তথ্য যাচাই করে দেখা এবং সরকারি বিবৃতির উপর নির্ভর করার আহ্বান জানানো হয়েছে দেশের নাগরিকদের।