ব্যুরো নিউজ,৩০ এপ্রিল: রাশিয়া সম্প্রতি চীনের হাতে S-400 বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ২০১৪ সালের একটি বিলিয়ন ডলারের চুক্তির আওতায় এই অস্ত্র হস্তান্তর দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করলেও, এর গভীরে রয়েছে প্রযুক্তিগত কৌশল। চীনা বিশ্লেষকরা দাবি করেছেন, রাশিয়া চীনকে ‘পুরাতন সংস্করণ’ সরবরাহ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিজেদের কাছেই রেখেছে।
ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রস্তুতি
চীনের সাংবাদিক লি জুন উল্লেখ করেন, রাশিয়া এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রযুক্তি নকল এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতার ঝুঁকি কমাতে সচেষ্ট হয়েছে। এটি পরিষ্কার যে মস্কো সামরিক শক্তি বিক্রির ক্ষেত্রে এখন কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত দিক থেকেও সজাগ।
এই সরবরাহের সময়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একই সময়ে ভারত ফ্রান্সের সঙ্গে ২৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ₹৬৪,০০০ কোটির চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই চুক্তি ভারতের সামুদ্রিক কৌশলগত শক্তিকে বাড়াবে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলায়।
পহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক যখন চরম উত্তেজনায়, তখন রাশিয়ার এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার শক্তি ভারসাম্যে এক নতুন মোড় আনতে পারে। ভারত, যিনি নিজেও S-400 সিস্টেমের একজন ব্যবহারকারী, এই পরিস্থিতিতে কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া প্রযুক্তির আধিপত্য ধরে রেখে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। চীনা মিডিয়ায় S-400 সরবরাহ নিয়ে অপেক্ষাকৃত নীরবতা, দেশটির অস্বস্তি এবং সীমিত লাভের ইঙ্গিত বহন করে।
এই ঘটনার ফলে ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রস্তুতি আরও মজবুত হতে পারে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত এখন তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে, যেখানে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের চলমান সম্পর্ক নতুন কৌশলগত সমীকরণ তৈরি করছে।