অক্টোবর উষ্ণতম ১২৩ বছরে

ব্যুরো নিউজ,২ নভেম্বর:বিগত ১২৩ বছরের মধ্যে চলতি অক্টোবর মাসই সবচেয়ে উষ্ণতম এমন কথা জানিয়ে দিলেন দিল্লির মৌসম ভবন ও ইন্ডিয়া মেটেরিওলজিকাল ডিপার্টমেন্ট। ১৯০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আবহবিদরা হিসেব করে দেখেছেন, যে গরম অক্টোবর মাসে সাধারণ মানুষ বোধ করেছে তা আগে কখনো দেখেনি ভারত। জানা গেছে তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস । স্বাভাবিকের চেয়ে এই তাপমাত্রা ছিল ১.২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তাপমাত্রা বাড়ছিল । এখনো শেষ হয়নি সেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ।

অমিত শাহের বঙ্গ সফরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা হল নাঃ বিজেপির নেতাদের কি ব্যাখ্যা? 

শীত পরতে পারে জাকিয়ে

সেই সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে আরো দুটি ঘুনাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে চলতি বছরে। উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাতাসের প্রবাহ চলছে। আর সেটাই উল্টো দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস ঢোকার পথে বাধা সৃষ্টি করছে এ কথা জানিয়েছেন মৌসম ভবনের অন্যতম অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।মৌসম ভবনের আগাম হুঁশিয়ারি সামনের দিন দশেক এইরকম অবস্থায় চলবে। তেমন কোন তাপমাত্রা হেরফের হবে না। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা গড়ে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে। সাধারণত অক্টোবর মাসে শেষ দিক থেকেই শীত পড়ে যায় কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। চলতি বছরে মার্চ মাসেই তাপমাত্রা নজির সৃষ্টি করেছিল। গুজরাটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সেই সময় ৪০ ডিগ্রিরও বেশি হয়। রেহাই পায়নি বাংলাও। গত এপ্রিল মাসে প্রায় সবদিনই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপ প্রবাহ ভাবিয়ে দিয়েছিল পশ্চিমবাংলার মানুষকে।

জেলে সঞ্জয়ের কান্নাকাটিঃ মুক্তির জন্য আকুল আহ্বান

সেই সময় কলকাতা তাপমাত্রা গত ৫৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে পৌঁছে যায় ৪৩ ডিগ্রিতে। কলাইকুন্ডা ও পানাগড়ে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিল্লিতে বিভিন্ন জায়গায় বারে বারে পারদ উঠেছিল ৫০ ডিগ্রিতে। জুনেও প্রকৃতি ছিল এলোমেল। বর্ষা ঢুকতেও দেরি করেছিল। মৌসম ভবনের আগাম ঘোষণা লা নিনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের উপড়ি তলে। যার ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেছে। ফলে এবার দেশে ঠান্ডা পড়লে তা জাকিয়েই পড়বে বলে মনে করছে মৌসম ভবনের কর্তারা।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর