ব্যুরো নিউজ,১৮ এপ্রিল: শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) তাদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, এসএসসি ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হবে। এর আগে, নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং কার্যকর করতে বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠানো হবে। যদি সরকার অনুমোদন দেয়, তবে এসব পরিবর্তন কার্যকর করা হবে।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য পরিবর্তন
এসএসসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্রস্তাবের মধ্যে একটি হলো পরীক্ষার্থীদের জন্য উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের কার্বন কপি প্রদান করা, যাতে তারা পরীক্ষা শেষে তা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন। এটি পরীক্ষার্থীদের কাছে আরও স্বচ্ছতা এনে দিতে পারে। এ ছাড়া, ফল প্রকাশের আগে উত্তরপত্র প্রকাশ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যাতে পরীক্ষার্থীরা তাদের নম্বর সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন। এছাড়া, কাউন্সেলিং পর্বেও কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?
এসএসসি কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের জন্য পদক্ষেপ নেয়, এবং সেই সময়েই নতুন নিয়োগ বিধির খসড়া প্রস্তুত করা হয়। তবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তা নিয়ে আলোচনা চললেও পরবর্তীতে এই খসড়া নিয়ে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পর, এসএসসি পুরনো খসড়াতে কিছু নতুন পরিবর্তন এনে তা স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত ৩ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়, যেখানে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়, এবং এর ফলে ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি চলে যায়। আদালত জানিয়েছে যে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে আদালতের নির্দেশ অনুসারে, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন, কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না। এখন, রাজ্য সরকারকে ৩১ মে-র মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায়কে ‘বড় স্বস্তি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং জানিয়েছেন যে, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
