ব্যুরো নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর :সম্প্রতি প্রকৃতির রুদ্ররূপের সম্মুখীন হয়েছে উত্তরবঙ্গ। সিকিম, মিরিক এবং কালিম্পংয়ে বড় ধরনের ধস দেখা দিয়েছে, যার ফলে পুরো অঞ্চলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। সিকিমের জীবন রক্ষা করা এন এইচ ১০ সড়কটি বন্ধ হয়ে গেছে। মিরিকের বেশ কিছু বাড়িও ধসে পড়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিরাট কোহলির ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন পার্থিব প্যাটেল ও তামিম ইকবাল
সিকিমে লাল সতর্কতা জারি
মৌসম দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মিরিকে আজ টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে, যা ইতিমধ্যে তিস্তা বাজার থেকে কালিম্পং পর্যন্ত রাস্তাগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। পর্যটন শিল্পের জন্য পুজোর মুখে এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
পুজোর আগে জেল্লাদার ত্বক পেতে এই দারুণ পানীয়তে চুমুক দিন
সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গন চুংথাঙ্গসহ বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে, যা মানুষের জীবন ও সম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ। দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়িতে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেবক থেকে কালিঝোরার মধ্যবর্তী অঞ্চলে একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
বিরিকধারা এলাকায় বড় বড় পাথরের চাঁই গড়িয়ে পড়ছে, যা রাস্তার চলাচলকে বিপন্ন করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (BRO) দ্রুত মেরামতের কাজে নেমেছে। যদিও গ্যাংটকে পৌঁছানোর জন্য ঘুরপথে লাভা হয়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে, তবে অন্যান্য রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
গরমের তাপপ্রবাহে ঠোঁট ভিজিয়ে নিন ‘মহব্বত কি শরবত’ দিয়ে! মিলবে দারুণ প্রশান্তি
এছাড়া, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে তিস্তা নদীর জলস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে স্থানীয় কয়েকজন জলাশয়ে আটকে পড়েছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় নৌকা করে তাদের উদ্ধার করা হয়। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, যা পুজোর সময় পর্যটকদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে।