বিদ্রোহীদের সংঘর্ষবিরতি ও মানবিক সাহায্য
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্রোহী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ ঘোষণা করেছে যে তারা ৩০ মার্চ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সংঘর্ষবিরতি পালন করবে, যাতে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত না হয়। এছাড়াও, সামরিক জান্তা বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (NUG) জানিয়েছে যে, তারা রাষ্ট্রসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলে ত্রাণ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা নেবে। ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ ও ত্রাণ সহায়তাভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের পর মায়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভারত সরকার ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ নামে একটি বিশেষ ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মায়ানমারের সামরিক প্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) ৮০ জন সদস্যকে উদ্ধারকাজের জন্য পাঠানো হয়েছে।ভারত ইতোমধ্যে প্রথম দফায় ১৫ টন জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে এবং সব মিলিয়ে ১৩৭ টন ত্রাণ সরবরাহ করেছে। আকাশপথের পাশাপাশি সমুদ্রপথেও ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ও একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্স মায়ানমারে পাঠানো হচ্ছে।
চিকিৎসা সংকট ও মানবিক চ্যালেঞ্জ, দেশজুড়ে চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে ট্রমা কিট, ব্লাড ব্যাগ, অ্যানাস্থেটিক ওষুধ, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তাঁবুর অভাব দেখা দিয়েছে। মন্দালয় ও নেপিডোর হাসপাতালগুলো গুরুতর আহতদের ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।এছাড়াও, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইন্টারনেট সংযোগে ব্যাঘাত ঘটছে, যা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমকে আরও কঠিন করে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
Mayanmar Earthquake: আফটার শকে নাজেহাল মায়ানমার, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা
মায়ানমারের ভূমিকম্প ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেছে, এবং দেশটির জনগণ এখন কঠিন সময় পার করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষবিরতি, ভারতের অপারেশন ব্রহ্ম, ও রাষ্ট্রসংঘের প্রচেষ্টাগুলো উদ্ধার কাজকে এগিয়ে নিচ্ছে, তবে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে আরও সহায়তা দরকার। পরিস্থিতি সামলাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও তৎপরতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।