ব্ল্যাক নাইট: রহস্যের শুরু ও টেসলার দাবি, এই রহস্যের সূত্রপাত মূলত ১৮৯৯ সালে, যখন বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা দাবি করেছিলেন যে, তিনি মহাকাশ থেকে আসা অদ্ভুত এক রেডিও সংকেত পেয়েছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল, এটি ভিনগ্রহীদের পাঠানো সংকেত, যা সংখ্যার মাধ্যমে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিল। ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি লিখেছিলেন, “সংকেতগুলোর মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন দেখেছি, যা স্বাভাবিক নয়। আমি বিশ্বাস করি, প্রথমবারের মতো এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে পাঠানো বার্তা ধরতে পেরেছি।”যদিও টেসলার এই দাবিকে অনেক বিজ্ঞানী গুরুত্ব দেননি, তবে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীরা মনে করেন, সেই সংকেতই ছিল ব্ল্যাক নাইট স্যাটেলাইটের প্রথম চিহ্ন।
বিভিন্ন সময়ের বিভ্রান্তি ও বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা
১৯৫৪ সালে এক সংবাদপত্র দাবি করে, পৃথিবীর কক্ষপথে একটি অজানা বস্তু ভেসে বেড়াচ্ছে। ১৯৬০-এর দশকে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগও একটি রহস্যময় বস্তু পর্যবেক্ষণের কথা জানায়। অনেকেই সেটিকে ব্ল্যাক নাইট বলে মনে করেন।১৯৯৮ সালে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এর এক মিশনে কিছু ছবি তোলা হয়, যেখানে কালো রঙের অদ্ভুত আকৃতির একটি বস্তু দেখা যায়। অনেকে সেটিকে ব্ল্যাক নাইট বলে দাবি করলেও, নাসা এটিকে “থার্মাল ব্ল্যাঙ্কেট” বা মহাকাশযানের তাপ প্রতিরোধক চাদর হিসেবে ব্যাখ্যা দেয়, যা দুর্ঘটনাবশত মহাকাশে হারিয়ে গিয়েছিল।
বাস্তবতা নাকি ষড়যন্ত্র? ২০১৭ সালে গুজব ছড়ায় যে, ব্ল্যাক নাইট স্যাটেলাইটকে গোপন সংস্থা “ইলুমিনাটি” ধ্বংস করে দিয়েছে। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবুও অনেকে বিশ্বাস করেন যে, এই রহস্যময় উপগ্রহ একসময় পৃথিবীর তথ্য মঙ্গল গ্রহে পাঠাত!বিজ্ঞানীরা অবশ্য নিশ্চিত যে, ব্ল্যাক নাইট স্যাটেলাইট কোনো বাস্তব উপগ্রহ নয়। এটি আসলে বিভিন্ন ভুল ব্যাখ্যা, মহাকাশ আবর্জনা, রেডিও সংকেত ও কল্পনার সংমিশ্রণে তৈরি এক “মিথ” মাত্র। তবে রহস্যপ্রেমীদের কাছে এই উপগ্রহ এখনও এক বিস্ময়!
Bangladesh: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে , আমেরিকার চালে বাজিমাত