ব্যুরো নিউজ,২৯ মার্চ : মায়ানমারে একের পর এক ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শুক্রবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭। এর মাত্র ২০ মিনিট পর আরও একবার কেঁপে ওঠে মাটি, সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। এরপর দুপুরে আরও একটি আফটারশক হয়, যার তীব্রতা ছিল ৪.৪।ভয়াবহ কম্পনের জেরে মায়ানমারে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৯ জনের এবং আহতের সংখ্যা ২৫০-এর বেশি। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা কেন্দ্রীয় মায়ানমারের মনইয়া শহরে, যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
কলকাতার নববর্ষ উদযাপনঃ আভিজাত্য থেকে উচ্ছৃঙ্খলতায় রূপান্তর
ভূমিকম্পের ধাক্কায় দেশটির ঐতিহাসিক আভা সেতু সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও একাধিক ঐতিহাসিক ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মায়ানমারের রাজধানীর ১০০০ বেডের একটি বড় হাসপাতালকে ‘মাস ক্যাজুয়ালটি এরিয়া’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, কারণ সেখানে থাকা বহু রোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিম্নচাপের ফলে বঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
শুধু মায়ানমার নয়, এই কম্পন অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ড, চিন, ভারত ও বাংলাদেশেও। ব্যাংককে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ধসে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং এখনও সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত ৪৩ জন আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভুল খবর! লন্ডনে পুলিশের দ্বারস্থ গাঙ্গুলি পত্নী,কুৎসা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে
মায়ানমারের সেনা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা US Geological Survey (USGS) জানিয়েছে, কমপক্ষে ৮ লাখ মানুষ প্রবল ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন। দেশজুড়ে উদ্ধারকাজ চলছে, তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে।