কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরোক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন রাজ্যের সাম্প্রতিক অশান্তি ঘিরে, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের হিংসাত্মক পরিস্থিতিকে লক্ষ্য করেই। যদিও তিনি কোনও জেলার নাম উচ্চারণ করেননি, তবুও তাঁর বক্তব্যের প্রতিটি বাক্য যেন ছিল সেই উত্তপ্ত অঞ্চলের জন্যই নির্দিষ্ট।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
মমতা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “কারও উপর যদি অন্যায় হয়—সে অবহেলিত, শোষিত বা বঞ্চিত হোক না কেন—আমরা সবাই পাশে দাঁড়াই। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন।” এই কথায় স্পষ্টতই তিনি বুঝিয়ে দেন, রাজ্য সরকার কোনও রকম সাম্প্রদায়িক বিভাজন নয়, বরং মানবিকতার ওপরেই জোর দেবে।
অশান্তির প্রতিবাদে শান্তির আহ্বান
মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সকলের অধিকার, তবে আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনও অধিকার কারও নেই। তাঁর কথায়, “আইনের জন্য তো রক্ষক রয়েছে, ভক্ষক তো দরকার নেই।” এ বক্তব্য যেন সরাসরি উদ্দেশ্য করে বলা—যাঁরা ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে রেখে হিংসা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, “প্ররোচনায় পা দেবেন না। মাথা ঠান্ডা রাখুন। সেই তো আসল জয়। ভক্তি, মানবতা, শান্তি—এই হোক আমাদের ধর্ম।”
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
সাম্প্রতিক মুর্শিদাবাদে অশান্তির আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজ্যবাসীকে শান্তি ও সহিষ্ণুতার বার্তা দেয়। তাঁর কথার সুরে রাজনৈতিক না হয়ে এক মানবিক আবেদনই উঠে আসে—“লড়াই নয়, ভালবাসা হোক ধর্মের প্রকাশ।” চাইলে এই বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি টুইস্টেড বা মিস্ট্রি-টাইপ হেডলাইনও দিয়ে দিতে পারি!