ব্যুরো নিউজ,২৪ এপ্রিল: পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় প্রাণ গেল ২৬ জনের, আতঙ্ক ছড়াল দেশজুড়ে। তবু কিছু পর্যটক রয়ে গেলেন কাশ্মীরেই, কারণ তাঁদের মতে, কাশ্মীরি মানুষের উপর আছে অটুট আস্থা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার পরে পর্যটকদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বহু ভ্রমণপিপাসু ফিরে যাচ্ছেন নিজের রাজ্যে। বিমানের টিকিট কাটছেন একরাশ শঙ্কা আর অনিশ্চয়তা নিয়ে।
বাংলাদেশে ধনীদের উপর বেশি কর চাপানোর সুপারিশ, বৈষম্য কমাতে টাস্ক ফোর্সের প্রস্তাব
কিন্তু এই আতঙ্কের মাঝেও একটি আলাদা ছবি উঠে এসেছে মহারাষ্ট্র থেকে আসা কিছু পর্যটকের কাছ থেকে। তারা জানাচ্ছেন, ভয় থাকলেও কাশ্মীর ঘুরে না দেখা পর্যন্ত তাঁরা ফিরছেন না। এমনই দুই মহিলা পর্যটক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ঘটনাটি নিঃসন্দেহে ভয়ংকর। কিন্তু আমরা কাশ্মীরে এসেছি, সব কিছু দেখে তবেই ফিরব। আতিথেয়তায় কাশ্মীরিরা যে কতটা আন্তরিক, তা নিজের চোখে দেখেছি।’’
মমতা সরকারের বাজেট অধিবেশনঃ শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটের প্রস্তুতি
আতিথেয়তার বিশ্বাসেই সাহস
পর্যটকদের বক্তব্য, ঘটনার দিন তাঁরা পহেলগাঁওতেই ছিলেন, যদিও গুলির শব্দ বা জঙ্গি তৎপরতার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন না। কিন্তু তবুও তাঁরা কাশ্মীর ছাড়ছেন না। কারণ তাঁদের মতে, স্থানীয় কাশ্মীরিদের ব্যবহার, নিরাপত্তা ও সহানুভূতি সত্যিই প্রশংসনীয়। এক পর্যটকের কথায়, ‘‘আমাদের গাড়িচালক কখনও জিজ্ঞেস করেননি আমরা কোন ধর্মের। বরং হামলার পরে তিনিই বেশি চিন্তিত ছিলেন আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে।’’ তিনি আরও জানান, হামলার সময় চালক নিজেকে না ভেবে প্রথমে তাঁদের নিরাপদে হোটেলে পৌঁছে দেন। এই সাহসী পর্যটকদের মতে, আতিথেয়তা এবং সহমর্মিতা দেখিয়ে কাশ্মীরিরা তাঁদের আস্থা অর্জন করেছেন।
মমতা সরকারের বাজেট অধিবেশনঃ শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটের প্রস্তুতি
তবে সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় যে জীবনহানির ঘটনা ঘটেছে, তা ভোলার নয়। সেই ভয়াবহ ঘটনার বলি হয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ছিলেন মহারাষ্ট্রের। এই অবস্থায় যখন চার দিকে আতঙ্ক আর কান্নার সুর, তখন কিছু মানুষের এই সাহস ও মানবিকতায় আজ কাশ্মীরের অন্য এক মুখ তুলে ধরল।