ব্যুরো নিউজ,৪ ডিসেম্বর:বাংলাদেশে চলমান অশান্তি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কারণে ওপার বাংলার বেশ কিছু জেলা অস্থির হয়ে উঠেছে।এই পরিস্থিতিতে মালদা জেলা হোটেল মালিকরা এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তারা ঠিক করেছেন ওপার বাংলা থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না। এর মূল কারণ বাংলাদেশিদের বৈধ নথি আছে কিনা সেসব বোঝার উপায় নেই ফলে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।মালদার হোটেল মালিকদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার ভীতি।বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বাড়ছে, এবং অনেকেই ভারতে আশ্রয়ের জন্য আসছেন।
ভারতকে ১.১৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এমএইচ-৬০আর হেলিকপ্টার বিক্রি করতে প্রস্তুত আমেরিকা
নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা
যদিও বৈধ কাগজপত্র নিয়ে তারা আসছেন বলে দাবি করা হচ্ছে তবুও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি তাদের এই সিদ্ধান্তের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ ও বনগাঁ অঞ্চলে বাংলাদেশের নাগরিকদের আসা বেড়েছে, এবং এখানকার হোটেল মালিকরা তাদের নিরাপত্তা ও ব্যবসা সুরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।অপরদিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থার আওতায় আছেন এবং তার জামিন মামলার শুনানি আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি এমন যে, কোনও আইনজীবী তার পক্ষে মামলা লড়তে সাহস করছেন না কারণ তাদের ওপর আক্রমণ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।এর ফলে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের সম্ভাবনা সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে।
চিন্ময় প্রভুর পক্ষে আইনজীবী দাঁড়ালেই গণপিটুনি, চট্টগ্রামে উত্তেজনা
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উত্তম বসাক এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন ‘বাংলাদেশে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে আসলে সেখানে আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে। ফলে, মালদা জেলা হোটেল মালিকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।বর্তমান পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বেগ এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।এমন পরিস্থিতিতে, আইন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত জটিলতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।