ব্যুরো নিউজ, ১ মার্চ: পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছিল আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত তা সত্যিও হল। পদ ছাড়লেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে একটি নয়, এক সঙ্গে দু’দুটি পদ। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি তৃণমূল মুখপাত্রের পদও ছাড়লেন তিনি।
সন্দেশখালির জল গড়াল দিল্লীতে | বিজেপির অভিযানে ‘তুলকালাম’
এদিন দলের বেশকিছু নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তিনি। এরপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন কুণাল ঘোষ৷ পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, তিনি সরকারি নিরাপত্তাও ছেড়ে দিয়েছেন ৷ এদিকে কুণাল ঘোষের এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের অন্দরে ও রাজ্য-রাজনীতিতে জোর জল্পনার জন্ম দিয়েছে৷
পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মুখপাত্র, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও ছিল কুণাল। আর সেই দায়িত্ব তিনি আর নিতে চান না বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ এও জানা গিয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্রদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে একটি বৈঠক করা হয় উত্তর কলকাতায়। আর জানা গিয়েছে সেই বৈঠকে কুণাল ঘোষকে ডাকা হয়নি। পাশাপাশি আজ পূর্ব মেদিনীপুরের বৈঠকেও ডাকা হয়নি দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। আর আঁচ করা যাচ্ছে, এই ঘটনায় রীতিমত ‘ক্ষুব্ধ’ হন কুণাল।
এরপর আজ সকালেই তাঁর হ্যান্ডেলে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। সেখানে তার রাজনৈতিক পদ আর নেই। তার বদলে লেখা সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। এরপরই তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বিস্ফোরক সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নেতা অযোগ্য, গ্রুপবাজ, স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়।
তবে শুধু পদ নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তাও ছেড়ে দেন কুণাল ঘোষ। রাজ্যের তরফে দেওয়া নিরাপত্তারক্ষীদের তিনি আজ সকাল থেকে আসতে নিষেধ করে দেন বলে সূত্রের খবর। তবে মনেকরা হচ্ছে দলেরই কোনও প্রভাবশালীর উপর ক্ষোভ রয়েছে তার। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু কে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি? তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা।