Kolkata Metro expansion

ব্যুরো নিউজ ০৩ জুলাই : বরানগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত মেট্রো সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বছরের পর বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এই দীর্ঘসূত্রিতার প্রধান কারণ হল ডানলপ থেকে ব্যারাকপুর চিড়িয়া মোড় পর্যন্ত বি.টি. রোডের নিচে থাকা কলকাতা পুরসভার পানীয় জলের পাইপলাইনগুলি। এই পাইপলাইনগুলিই পলতা জলপ্রকল্প থেকে টালা ট্যাঙ্কে জল সরবরাহ করে, যেখান থেকে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে পানীয় জল পৌঁছায়।

জটিলতার মূলে পাইপলাইন স্থানান্তর

মেট্রোর পিলার বসানোর জন্য এই পাইপলাইনের তিনটি বড় অংশ সরাতে হবে, যার প্রাথমিক খরচ ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। এই বিপুল আর্থিক বোঝা কে বহন করবে, ঠিক ক’টি পাইপ সরানো হবে, কতটা বড় ব্যাসের নতুন পাইপ বসানো সম্ভব—এসব কিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেট্রো রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা, কেএমডিএ, পূর্ত দপ্তর, উত্তর ২৪ পরগনা ও বারাকপুরের স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও।

শিয়ালদহ মেনে চালু হতে চলেছে লোকাল এসি ট্রেন – কৃষ্ণনগর ,বনগাঁ সর্বত্র রুটে।

মূল সমস্যাগুলি কী কী?

  • বি.টি. রোডের নিচে ৪২ থেকে ৭২ ইঞ্চি ব্যাসের ছ’টি বড় পাইপলাইন রয়েছে।
  • মেট্রোর পিলার বসানোর জন্য অন্তত তিনটি পাইপ সরাতেই হবে।
  • প্রাথমিক প্রস্তাব হলো, এর পরিবর্তে দু’টি ৯০ ইঞ্চি পাইপ বসানো হোক।
  • তবে এত বড় ব্যাসের পাইপ বসানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
  • প্রয়োজনে মাইক্রো-পাইলিং বা বিকল্প কোনো প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হতে পারে, যার জন্য ফিজিবিলিটি টেস্ট (feasibility test) প্রয়োজন।

এক পুরকর্তা জানিয়েছেন, এত পুরনো পাইপলাইনে দীর্ঘদিন জল চলাচল করায় সেগুলির ভেতরে পলি জমে গিয়েছে, ফলে জলের বহনক্ষমতা কমে গিয়েছে। নতুন করে মাঝের অংশে পাইপ বসালে জলের চাপ অমসৃণ হয়ে যেতে পারে। তাই পুরসভা সম্পূর্ণ পাইপলাইন বদলানোর পক্ষপাতী। তিনি আরও বলেন, ২০০৮-২০১২ সালে একবার এমন একটি পাইপ বসাতে ৩০৫ কোটি টাকা লেগেছিল। সেক্ষেত্রে এখনকার খরচ হাজার কোটি ছাড়াতে পারে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ।

আলিপুরদুয়ারের জনসভায় মোদীর বার্তা : ‘নির্মম সরকার’কে উপড়ে ফেলে ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ’র ডাক!

মেয়রের বক্তব্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাইপলাইন সরানো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এই বিষয়ে একটি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো জরুরি।
মেট্রো সূত্রে জানা গেছে, বরানগর থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত প্রস্তাবিত এই মেট্রো লাইনের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১২.৫ কিমি। এই প্রকল্প চালু হলে উত্তর শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে, তবে তার আগে জলের লাইনের এই জট কাটানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। শুক্রবারের বৈঠক সেই সমাধানের দিশা দেখাতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর