কলকাতা মেট্রোর নতুন পরিকল্পনায় যাত্রী পাওয়া যাবে কি?

ব্যুরো নিউজ,২৪ ফেব্রুয়ারি:কলকাতায় নির্মীয়মাণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এবং উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর পথগুলি যাত্রীদের সুবিধা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার সল্টলেকে ‘ইনস্টিটিউট অব টাউন প্ল্যানার্স’-এর পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের আয়োজিত ‘কলকাতায় প্রস্তাবিত মেট্রো ব্যবস্থার প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসব উদ্বেগ উঠে আসে।বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতার মেট্রো পথের সফলতা অনেকাংশেই নির্ভর করছে কিভাবে এক রুট অন্য রুটের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। বর্তমানে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রুটের ৭০ শতাংশ যাত্রীই উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর সংযুক্ত পথের যাত্রী।

তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’ জয়ললিতার জন্মদিনে জানুন তাঁর জীবনের অজানা কিছু বিশেষ দিক

সংযুক্তির অভাব

এক্ষেত্রে, শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ রুটের যাত্রীরা মূলত শহরতলির ট্রেনের যাত্রী। তাই, যেহেতু সংযুক্তির অভাব রয়েছে, কিছু স্টেশন যাত্রী হারাতে পারে, যেমন নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর এবং জোকা-এসপ্লানেড মেট্রোপথের বহু স্টেশন।এছাড়া, মেট্রো পথগুলির পরিকল্পনায় স্টেশনগুলির গড় দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার হওয়া উচিত। কিন্তু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ-এসপ্লানেড এবং মহাকরণ-হাওড়া স্টেশনের গড় দূরত্ব প্রায় দু’কিলোমিটার। এর ফলে, বৌবাজার ও বড়বাজারের আশেপাশে একাংশ যোগাযোগের বাইরে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া, জোকা মেট্রোর তারাতলা স্টেশন অনেকটা দূরে অবস্থান করছে। মোমিনপুর এবং খিদিরপুর স্টেশনগুলির পর্যাপ্ত সংযোগ পরিকল্পনা না থাকলে অনেক যাত্রী পরিষেবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

মেট্রো ব্যবস্থার সফলতা নির্ভর করে শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির সঙ্গে সঠিকভাবে সংযুক্তি নিশ্চিত করার উপর। বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর সিংহ বলেন, “যাতায়াতের মূল স্রোত যেখান দিয়ে যায়, তাকে ছুঁতে না পারলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।” তিনি মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যে সংযোগ বাড়াতে ট্রামের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন।তবে বাস্তবতা হলো, টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন এবং জোকা স্টেশনের মধ্যে সংযোগের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু আবাসিক এলাকা থাকায় তা বাতিল করতে হয়।

তামিলনাড়ুর ‘আম্মা’ জয়ললিতার জন্মদিনে জানুন এই কিংবদন্তির যাত্রার কাহিনী

পাশাপাশি, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো এবং বেলেঘাটা স্টেশনের মধ্যে পর্যাপ্ত যোগাযোগের অভাব রয়েছে। এমনকি চিংড়িঘাটায় কোনো স্টেশনও নেই। কলকাতা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “দক্ষিণ থেকে আসা যাত্রীরা উল্টোডাঙা যাওয়ার পথে সমস্যায় পড়তে পারেন, তাই তারা ওই মেট্রোপথ এড়াতে পারেন।”নতুন মেট্রো প্রকল্পের সুফল পেতে, স্টেশন এবং তাদের সংযোগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং গণপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর