ব্যুরো নিউজ, ৯ মেঃ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখন আঘাত-প্রত্যাঘাতের উত্তেজনা চরমে, ঠিক সেই সময় দেশের অভ্যন্তরেও বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়েছে বিচারব্যবস্থা। দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাড়ি থেকে ১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছিল। এরপর থেকেই প্রশ্ন ওঠে—কীভাবে এত বিপুল অঙ্কের টাকা এল বিচারপতির কাছে?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, সেই কমিটির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুপারিশ করেছেন, বিচারপতি ভার্মার অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। এই ঘটনা দেশের বিচারব্যবস্থায় নৈতিকতার প্রশ্নকে সামনে এনে দিয়েছে।
কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৭.৪, স্বস্তি মিলবে কি? জেনে নিন
অপসারণের পথে বিচারপতি ভার্মা
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রধান বিচারপতি খান্না ‘ইন-হাউস প্রসিডিওর’ মেনে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে এক চিঠি লিখেছেন, যার সঙ্গে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও বিচারপতি ভার্মার প্রতিক্রিয়া সংযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২২ মার্চ এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু। সদস্য ছিলেন হিমাচল প্রদেশের প্রধান বিচারপতি জি এস সান্ধাওয়ালিয়া এবং কর্ণাটকের বিচারপতি অনু শিবরমন।
৫ এপ্রিল বিচারপতি ভার্মা এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি খান্না তাঁকে ৪ মে একটি চিঠি দিয়ে পদত্যাগের বিকল্প পথও দেখান বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় ভার্মার ভূমিকা ‘গুরুতর প্রশ্নের’ জন্ম দিয়েছে। একদিকে যখন পহেলগাঁও হামলার জবাবে ভারতের পালটা অভিযানে উত্তপ্ত উপমহাদেশ, অন্যদিকে বিচারবিভাগের এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক এবং বিচারিক পরিবেশকেও প্রভাবিত করছে। প্রধান বিচারপতির এই সুপারিশ পরবর্তী সময়ে বিচারপতি ভার্মার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।