india-drone-shot-pok-pakistan-claim

ব্যুরো নিউজ,২৯ এপ্রিল: কাশ্মীর সীমান্তে ফের চরম উত্তেজনা। পাকিস্তানের সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় একটি ড্রোন ঢুকে পড়েছিল, যাকে গুলি করে নামিয়েছে পাকিস্তানি সেনা।এই দাবি করেছে ‘রেডিও পাকিস্তান’ এবং ‘পিটিভি নিউজ’। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভীমবের জেলার মানাওয়ার সেক্টরে ঢুকে পড়ে। এরপর সেটিকে গুলি করে নামানো হয়।

পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা

পেহেলগাঁও হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে ফিরল উড়িশার ভোলা পরিবার! ছেঁড়া ট্রিপল এর নিচে লুকিয়ে প্রাণে বাঁচলেন বাবা ও ছেলে

ঘটনার সময় এবং বিস্তারিত তথ্য না জানালেও, তারা স্পষ্ট করেছে যে এটি পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা।ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক অত্যন্ত টানাপড়েনের মধ্যে রয়েছে।

সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন। এই ঘটনায় ভারতের নিরাপত্তা মহল কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়।জঙ্গি হামলার পরের দিনই ভারত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেওয়া।

জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কাঁথিতে সম্মেলনের ছাড়পত্র, লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আদালতের নির্দেশ

এই সিদ্ধান্তের জবাবে পাকিস্তান জানায়, জলপ্রবাহ আটকানো হলে তা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র সমান হবে। এমনকি, তারা শিমলা চুক্তি স্থগিত করার হুমকিও দেয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিতেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা নির্ধারিত হয়েছিল।এই হুমকি ও পাল্টা হুঁশিয়ারির আবহেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রায় প্রতি রাতেই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে।সোমবার রাতেও পাক সেনা গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতের পক্ষ থেকেও ‘পরিমিত ও কার্যকর’ জবাব দেওয়া হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়।

এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে পাকিস্তানের মিডিয়ায় ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি সামনে আসে।যদিও ড্রোনটি ভারতের সেনাবাহিনীর ছিল কি না, কিংবা আদৌ এমন কিছু ঘটেছে কি না, তা নিয়ে ভারতীয় কোনও সূত্র নিশ্চিত করেনি।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ঘটনা সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।

ড্রোনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে সীমান্তে নজরদারি এখন নতুন কোনও বিষয় নয়। কিন্তু এই দাবি যদি সত্য হয়, তাহলে দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।বর্তমানে কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যত কাগজে থাকলেও, বাস্তবে তার ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর