ব্যুরো নিউজ,২৯ এপ্রিল: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় শহিদ সেনা কমান্ডো ঝন্টু শেখের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। নিহত জওয়ানের বাড়িতে প্রথমে দেখা না যাওয়ায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে।
রাজনৈতিক কৌশল নয়, দায়িত্ববোধ থেকে
কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে, পাক দাবি— “ভারতীয় ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে”
ঝন্টুর মৃত্যুর পরে তাঁর নদিয়ার তেহট্টের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতারা। কিন্তু বিজেপির কেউ যাননি। এই অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।সমালোচনার মধ্যে অবশেষে মঙ্গলবার নিহত সেনার বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও নেতারা।
তৃণমূল এই সফরকে ‘বিলম্বিত বোধোদয়’ বলে কটাক্ষ করেছে। দলের মতে, রাজনৈতিক চাপের মুখেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি।তৃণমূল নেতা বাণী রায়ের মতে, “বিজেপি শহিদের ধর্ম দেখে সম্মান করে। রাজনৈতিক লাভ না থাকলে ওরা আসে না।” তিনি বলেন, “দেশরক্ষায় শহিদের কোনও ধর্ম নেই। এটা ওরা বুঝল এতদিন পরে।”
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কাঁথিতে সম্মেলনের ছাড়পত্র, লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আদালতের নির্দেশ
বিজেপি নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন,তারা রাজনৈতিক কৌশল নয়, দায়িত্ববোধ থেকে ঝন্টুর বাড়িতে গিয়েছেন।এক বিজেপি নেতা জানান, “আমরা কাকে কবে শ্রদ্ধা জানাব, সেটা তৃণমূল বা অন্য দল ঠিক করবে না। মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া মানুষের খোঁজ নিতে ব্যস্ত ছিলেন বিরোধী দলনেতা, তাই দেরি হয়েছে।”শুভেন্দু অধিকারীর সফরসঙ্গীরা দাবি করেছেন, “এই সফরের পেছনে কোনও রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসাব নেই। পরিস্থিতি বুঝেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
শহিদ ঝন্টু শেখ ছিলেন জম্মুর উধমপুরে নিযুক্ত। পহেলগাঁও হামলার পর জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে তিনি গুরুতর আহত হন এবং হাসপাতালে প্রাণ হারান।তাঁর দেহ গ্রামে পৌঁছানোর সময় অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বিজেপির অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
ঝন্টুর পরিবার, বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান, বর্তমানে আগরায় থাকলেও স্বামীর মৃত্যুর পর তারা তেহট্টে এসেছেন। শুভেন্দু তাদের সঙ্গেও দেখা করতে চান বলে জানান।এই সফরের মধ্য দিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক সমালোচনা সামাল দিতে পারবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।