ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর : শিশুদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতি নির্ভর করে তাদের খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি দৈনন্দিন রুটিনের ওপর। শৈশব এমন একটি সময় যখন শিশুরা সহজেই রুটিনে চলে যেতে পারে। আর যদি সেই সময়টিতে বাবা-মা তাদের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শেখান তবে তা শিশুদের জীবনের একটি অমূল্য অভ্যাস হয়ে দাঁড়াবে। সকালে উঠে সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে শিশুর সারাদিনের কার্যকলাপ অনেকটা সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
আরও বাড়ছে পাউরুটির দাম, মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ
আসুন জেনে নিই এমন কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা আপনার শিশুকে শিখানো উচিত
১. সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা
শিশুদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে তারা নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠুক। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে ঠিক সময়েই ঘুম থেকে ওঠা, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। যখন শিশুরা নিয়মিত একটি সময়সূচিতে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের শরীরও সেই অনুযায়ী অভ্যস্ত হয়ে যায়। ফলে, তাদের দিন শুরু হয় ভালোভাবে এবং রুটিন ঠিকঠাক চলে।
২. খালি পেটে গরম পানি পান করা
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি পান করলে পেটের অঙ্গগুলো পরিষ্কার থাকে এবং শরীরের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এই অভ্যাস শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। গরম পানি তার হজম প্রক্রিয়া সুগম করে, যা সারাদিন সতেজ থাকার জন্য অপরিহার্য।
শীতের সময় স্বাস্থ্যের জন্য এক উপকারী পানীয় হল আমলা শট, কীভাবে বানাবেন এই আমলা শট ?
৩. যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং প্রাণায়াম
শৈশব থেকেই যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম এবং ধ্যান শুরু করলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উপকৃত হয়। এটি শিশুকে শক্তিশালী এবং একাগ্র করে তোলে। যোগব্যায়াম তার শরীরের সক্ষমতা বাড়ায়, ধ্যান মনকে শান্ত রাখে এবং প্রাণায়াম তার শরীরে নতুন শক্তি আনে।
৪. স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা
সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস শিশুদের শক্তির উৎস। এতে শিশুর শরীর সারাদিন চলতে শক্তি পায় এবং সুস্থ থাকে। ফল, শুকনো ফল, শাকসবজি ইত্যাদি শিশুকে খাওয়ানোর মাধ্যমে তার খাদ্যাভ্যাসকে স্বাস্থ্যকর রাখা যায়। শিশুরা যদি আপনার সাথে এসব স্বাস্থ্যকর খাবার খায়, তবে তাদেরও সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে উঠবে।
৫. দিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করা
শিশুদের রুটিন সুসংগঠিত করতে, তাদের দিন শুরুর আগে ছোট ছোট কাজের তালিকা তৈরি করতে বলুন। এতে শিশুর মধ্যে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সংগঠিত থাকার প্রবণতা গড়ে উঠবে, যা পরবর্তী জীবনে তাদের বড় লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।