ব্যুরো নিউজ,১১ নভেম্বর:ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ করবে না। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে এবং সীমান্তে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবার আইনি পথে হাঁটতে পারে।তারা ক্রীড়া আদালতে (Court of Arbitration for Sport) যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে।
দাবা বিতর্কে নতুন মোড়ঃ দিব্যেন্দু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বেঙ্গল চেস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ
”হাইব্রিড মডেল”
এর আগে, ২০২৩ সালে ওডিআই বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলতে এসেছিল, এবং তখন তারা আশা করেছিল যে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানে আইসিসি ইভেন্টে ভারতীয় দল খেলতে যাবে। তবে বিসিসিআই এই ব্যাপারে কোন সদর্থক সাড়া দেয়নি। বরং, ভারত নিজের পক্ষে “হাইব্রিড মডেল”-এর পক্ষেই সওয়াল করেছে। যেখানে ম্যাচগুলি হবে নিউট্রাল ভেন্যুতে বা ভারতীয় মাটিতে। এই সিদ্ধান্তের পরই পিসিবি ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে, কারণ তাদের দাবি, আইসিসি ইভেন্টে ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়ে আগের কোনো প্রত্যাশা বা সম্মতি হয়নি।ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট সম্পর্কের ইতিহাস খুবই অস্থির। ১৭ বছর আগে, ২০০৬ সালে, পাকিস্তানে ভারতীয় ক্রিকেট দল শেষবার খেলতে গিয়েছিল। এরপর, ২০১২-১৩ সালে পাকিস্তান ভারত সফর করেছিল, কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি। ২০১৯ সালে, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় ভারতীয় সেনার কনভয়ে আক্রমণের পর থেকে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সব ক্রীড়া সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে।
এরপর থেকে, শুধুমাত্র আইসিসি ইভেন্টেই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, সেটাও কখনো নিউট্রাল ভেন্যুতে, কখনো আবার ভারতের মাটিতে।এবার, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতীয় দলের পাকিস্তানে না যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আইনি পথে যেতে চাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে পিসিবির চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি এখনও কোন মন্তব্য করতে চাননি, তবে তিনি বলেছেন, ভারত সরকারিভাবে তাদের জানায়নি যে, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। তবে বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, তারা ইতিমধ্যেই আইসিসিকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে এবং পাকিস্তানে খেলার ব্যাপারে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।