ব্যুরো নিউজ, ৪ মার্চ: এর আগেও রাজ্যর বাজেট নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য বাজেটকে 'ভোটপ্রচার' বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। DA মঞ্চ থেকে আবারও রাজ্যের বাজেটের একাধিক 'ত্রুটি' নিয়ে রাজ্য সরকারকে 'তুলোধোনা' করলেন শুভেন্দু অধিকারী। হাজরা মোড়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই বাজেটের একাধিক ত্রুটি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। লোকসভা নির্বাচনের আগে ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধির প্রসঙ্গে নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, DA অন্দোলনকারীদের অন্দোলনের জন্য মনে মনে চাপের মুখে রাজ্য সরকার। এর আগের বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল, তাই ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধি কড়া হয়েছিল। আর এবার লোকসভা নির্বাচন তাই, এবার ৪ শতাংশ DA বৃদ্ধির গল্প ফেঁদেছে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র ‘মার্কসিট’ পাশপাশি এবারের এই বাজেটে পশ্চিমবঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি করেছে এই সরকার। এমনকি এ রাজ্যের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েগেছে এই সরকার এমনটাই দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। তিনি এও প্রকাশ্যে দাবি জানান, এই বছরের বাজেটে ৫ লক্ষ নতুন কর্ম সংস্থানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শুভেন্দুর স্পষ্ট দাবি জানান, সেই বাজেট বইতে ১ টি টাকাও নিয়োগ সংক্রান্ত খাতে বরাদ্দ নেই। ঠিক একইভাবে ৫০ দিনের কাজ চালু করার কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু তার কোনও আইন তৈরি হয়নি। পুরতাই মিথাচারের উপর দাড়িয়ে এই সরকার চলেছে। শুভেন্দু প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারকে পরিবারবাদি সরকার বলে কটাক্ষ করে বলেন, এই সরকারের একটাই লক্ষ যেনও তেনও প্রকারে ক্ষমতার বশে এই রাজ্যকে ধ্বংসের শেষ কিনারায় নিয়ে যাওয়া। রাজ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় গুলিতুলে বলেন, গত ১৩ বছরে এই সরকার কোনও স্থায়ি নিয়োগের কথা চিন্তা করেনি। পাশাপাশি ড. অমিত মিত্র যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি ৬ লক্ষ পার্মানেন্টের পদ অবলুপ্ত করে ৬০ হাজার কন্ট্রাকচুয়াল নিয়োগ করেছেন। একইসঙ্গে বিহার, উড়িষ্যা, উত্তর প্রদেশ সরকার কন্ট্রাকচুয়ালদের স্থায়ি নিয়োগের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। সেই সকল রাজ্যে জানানো হয়েছে এরপর থেকে মেধার উপর ভিত্তি করে স্থায়ী নিয়োগ হবে। এমনকি বোনাস ঘোষণার বিভিন্ন সুযোগ- সুবিধার কথাও বলেন। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে আরও শক্ত হাতে আন্দোলনে নামতে হবে। সরকারের কোনও দমন পীড়ননেই পিছে হাঁটলে চলবে না। আগামী লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গে শুভেন্দুর হুঙ্কার 'নো ভোট টু মমতা'। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়বাহিনির অবজারভাররা যদি সঠিকভাবে নিরপেক্ষতা রেখে, পুলিশের কিছু দলদাস আই পি এস অফিসার, শেখ শাহাজাহানদের মত গুণ্ডাদের সরিয়ে রেখে যদি লোকসভা নির্বাচন করতে পারে তবে 'নো ভোট টু মমতা' হবে। মানুষের যাকে খুশি নির্বাচিত করবে। কিন্তু মানুষ এই ভ্রষ্টাচারী, পরিবারবাদী এই সরকারকে সমর্থন করবে না বলে তার বিশ্বাস। পাশাপাশি তিনি দাবি তোলেন, কিছু বুথে নয়, সমস্ত বুথে বুথে ওয়েব ক্যমেরা রাখতে হবে। পাশাপাশি এই সরকার বিরোধী লড়াই তা সে আইনি লড়াই থেকে শুরু করে রাস্তার লড়াই, বিধানসভার ভেতরের লড়াই, বিধানসভার বাইরের লড়াই সব জায়গায় বিগত দিনের মতো ভবিষ্যতেও বিজেপি দল ও বিরোধী দলনেতাকে পাশে পাবে সাধারন মানুষ। এমনটাই জানান শুভেন্দু অধিকারী।