ব্যুরো নিউজ, ৯ মার্চ: কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ খুললেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথাও জানান কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, বাংলায় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি আবশ্যক বলেও জানালেন। বাংলায় অবাধ নির্বাচন হলে তৃণমূল মুছে যেতে পারে বলে ইঙ্গিতও দিলেন।
সন্দেশখালীর ঘটনা কি এবার বড় পর্দায়? শুরু হলো তোড়জোড়
তাঁর দাবি, বাংলায় যেভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করা হয় তা অকল্পনীয়। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনায় যেভাবে সাংবাদিকদেরও হেনস্তা করা হলো সেনিয়েও এদিন মুখ খুললেন অভিজিৎবাবু। বাংলায় যে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুত ৩৫৬ ধারায় জারি করা উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।
‘বাংলায় অবাধ নির্বাচন হলে জিতবে বিজেপি’
অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায়, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর দাবি, বাংলার মা-বোনেরা দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন, তবুও সেই জায়গায় একদিনও যেতে দেখা গেল না বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, যিনি ওই এলাকার সাংসদ তাঁকেও একদিনও সন্দেশখালিতে যেতে দেখা গেল না। প্রসঙ্গত বলা যেতেই পারে, তিনি নাম না করে সরাসরি বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানকে কটাক্ষ করেছেন। উল্লেখ্য এর আগেও, সন্দেশখালিতে না যাওয়ার কারণে নুসরাতকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। শুধু তাই নয়, একদিকে সন্দেশখালি যখন জ্বলছে, তখন তিনি ইনস্টাগ্রামে রিল বানাতে ব্যস্ত এমন অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনায় নুসরাতের সাফাই ছিল, আইনি নিষেধাজ্ঞা এবং দলের নির্দেশের কারণে তিনি সন্দেশখালি যেতে পারেননি।
একদিকে সন্দেশখালি, অন্যদিকে রেশন দুর্নীতি থেকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একের পর এক ইস্যুতে লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে শাসক দল। আর সেই জায়গা থেকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আশাবাদী বাংলায় অবাধ নির্বাচন হলে
তৃণমূলকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বিজেপি।