ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি :মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করে নির্বাচনী ময়দানে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি রাজ্যের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট এবং এই বাজেটের মাধ্যমে শাসক দল আরও কিছু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজ্য বাজেটে ডিএ নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশ
বুধবার, অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পেশ করবেন। কেন্দ্রীয় বাজেটের পর রাজ্য বাজেট নিয়ে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আয়কর ছাড়ের সুবিধা দিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের কী পদক্ষেপ থাকে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মনে করছেন, রাজ্য বাজেটে কিছু বিশেষ সুবিধার ঘোষণার দিকে নজর থাকতে পারে, বিশেষ করে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে।
তবে শাসক দলের কিছু সদস্য মনে করছেন, ভোটের মন জোগানোর জন্য সরাসরি কোনও বড় সুবিধার ঘোষণা না-ও থাকতে পারে। বরং, নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সরকারের আর্থিক কর্মসূচি তুলে ধরতে পারেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘পরিকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা এবং মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ—এই নীতির প্রতিফলন বাজেটে নিশ্চিতভাবেই থাকবে।’’
রাজ্য বাজেটে আবাস প্রকল্পের অগ্রাধিকারঃ মমতার পরিকল্পনা কি কি জানুন
বাজেটের আগে রাজ্য সরকারের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে, যা রাজ্য বাজেটের মূল দিক নির্ধারণে সাহায্য করবে। বাজেটে কর্মসংস্থান, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুবিধা এবং সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর বিষয়গুলো আলোচিত হতে পারে।বিরোধী দলগুলো মনে করছে, রাজ্য বাজেটে কিছু চমক থাকতে পারে, যা আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নেওয়া হয়েছে।
