ব্যুরো নিউজ,২৫ নভেম্বর:এনসিপি রবিবার তাদের পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে অজিত পাওয়ারকে নির্বাচিত করেছে।দলের প্রধান অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল, রাজ্য সভাপতি সুনীল ততকরে, এবং মন্ত্রী ছগন ভুজবল। ততকরে পরে এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সর্বসম্মতিক্রমে অজিত পাওয়ারকে দলের পরিষদীয় দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আইপিএল নিলামের দ্বিতীয় দিন : কোন দলের হাতে কত টাকা আর কতজন ক্রিকেটার প্রয়োজন?
বারামতী আসন থেকে জয়ী
এদিকে, মহায্যুতি জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক এনসিপি এবার বিজেপির হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ দাবি করেছে।এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি ১৩২টি আসন জিতেছে, তাই তাদেরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। এনসিপির রাজ্য সভাপতি সুনীল ততকরে এ বিষয়ে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই, কোনো দৌড়ও চলছে না। তিন দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি নিশ্চিত, এক-দু’দিনেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।’ মহায্যুতি জোটের এই বিশাল জয়ের পেছনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অবদান রয়েছে, বিশেষত “লড়কি বেহেন” প্রকল্প, যা রাজ্যের ২.৪ কোটি মহিলাকে সহায়তা করেছে। অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে অর্থ দফতর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
আইপিএল নিলাম লাইভ, মোহাম্মদ সিরাজ গুজরাট টাইটান্সে যোগ দিলেন
এবারের নির্বাচনে এনসিপি ৫৯টি আসনে লড়েছিল, যার মধ্যে ৪১টি আসনে তারা জয়ী হয়েছে। অজিত পাওয়ার নিজে বারামতী আসন থেকে জয়ী হন। সেখানে তার বিরুদ্ধে শরদ পাওয়ারের দলের প্রার্থী ছিলেন তার পরিবার সদস্য যুগেন্দ্র। শরদের শিবির ছেড়ে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে আসা বেশিরভাগ বিধায়কই এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।এনসিপি সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে একনাথ শিন্ডে ৪০ জন বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু এবার বিজেপি ১৩২টি আসনে জিতেছে, তাই এনসিপি চাইছে, দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।