আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইকে ১০টি তীব্র প্রশ্ন ডাক্তারদের, তদন্ত নিয়ে আরও সন্দেহ

ব্যুরো নিউজ,৫ নভেম্বর:আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-এর তদন্তের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। একের পর এক প্রশ্ন তুলে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, এই তদন্তে যে গুরুতর অস্বচ্ছতা রয়েছে, তা স্পষ্ট।ডক্টররা সিবিআইকে সরাসরি ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন ছিল, ‘আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার দেহে পাওয়া তরলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল কি? এবং সেই পরীক্ষার রিপোর্ট কী বলছে?’ চিকিৎসকদের অভিযোগ, চার্জশিটে এই বিষয়টি কেন উল্লেখ করা হয়নি? এ ছাড়া, ৯ অগস্ট নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তা ৫ দিন পরে ১৪ অগস্ট কেন ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হলো, সেই প্রশ্নও উঠেছে।

সঞ্জয়ের বিস্ফোরক দাবি—’ফাঁসানো হচ্ছে’, ডাক্তারদের মধ্যে নতুন প্রশ্ন উঠল

“আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, আমি নির্দোষ!”

চিকিৎসকদের আরও প্রশ্ন, ‘সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হওয়ার পর ১২ অগস্ট কেন রক্তমাখা পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হলো?’ এবং ‘নির্যাতিতার নখ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাতে কি ধৃতের টিস্যুর নমুনা পাওয়া গেছে? এই বিষয়টিও চার্জশিটে কেন উল্লিখিত হয়নি?’ তদন্তের সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ৯ অগস্ট রাতে সিজার লিস্ট তৈরি হওয়ার পর, সঞ্জয় রায় ১১টার মধ্যে গ্রেফতার হন। অথচ, তার আগে এফআইআর দায়ের হয়নি। তার পরে, চার্জশিটে সঞ্জয়ের গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন, সঞ্জয় কোথায় ছিল ৩টে ৩৬ মিনিট থেকে ৪টে ০৩ মিনিট—এই ২৭ মিনিট? এছাড়া, ব্লুটুথ ইয়ারফোনের মাধ্যমে সঞ্জয়ের গ্রেফতারি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তবে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সঞ্জয়ের গলায় ইয়ারফোন ছিল, কিন্তু কিছু সময় পর তা ছিল না। চিকিৎসকদের দাবি, ‘এই বিষয়টি কীভাবে বিচার করা হলো?’

আর জি করে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

শেষমেশ, তারা জানতে চেয়েছেন, কেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এফআইআর দায়ের করেনি, এবং কেন চার্জশিটে বলা হয়নি যে নির্যাতিতার মা-বাবা মেয়ের দেহ দেখতে পেতে ৩ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছিল।এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত সিবিআই-এর তদন্তের ওপর সন্দেহ জারি থাকছে, এবং এদিকে সঞ্জয় রায়ও আদালত থেকে বেরিয়ে চিৎকার করে বলছেন, “আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, আমি নির্দোষ!”

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর