বাল্য

ব্যুরো নিউজ, ০১ জানুয়ারি: বাল্যবিবাহের শিকার দুই বোন এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

স্কুলকে উপেক্ষা করেই বছর ১৫-এর বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলো বাবা মা। চলছিল মেজ মেয়েরও বিয়ের তোড়জোড়। সেই সময়েই শ্বশুরবাড়ি থেকে নির্যাতিত হয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসে বড় মেয়ে। দিদির মতো নির্যাতনের শিকার যাতে হতে না হয়, তাই এক বন্ধুর হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল মেজো মেয়ে। কম বয়সে বিয়ের চাপে পড়াশোনা বন্ধ হওয়া বাঁকুড়া জেলার এক গ্রামেরই দুই বোনকে ফের স্কুলে ফিরিয়ে এনেছে ‘মান্ট’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এ বছর এক সঙ্গে মাধ্যমিকে বসতে চলেছে ওই দুই বোন। ঘটনা হল, দেশের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একজোট হয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে নাবালিকা বিয়ে মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে। ‘মান্ট’ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মধ্যে অন্যতম।

১২-১৩ বছর বয়সে নিজের বিয়ে আটকে ‘রোল মডেল’ হওয়া পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির ভুরশু গ্রামের মেয়ে বীণা কালিন্দী বলেন, “আমাদের লড়াইটা ছিল অল্প বয়সে বিয়ের বিরুদ্ধে। এতে সমাজে একটা বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু আক্ষেপ একটাই, এত প্রচার আর প্রশাসনের পদক্ষেপের পরেও বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। বাঁকুড়ার দুই বোন ফের পড়াশোনা শুরু করে পরীক্ষায় বসতে চলেছে শুনে, ভাল লাগছে। তাদের জন্য শুভেচ্ছা রইল”।

হাতির হানা | মৃত ১

‘মান্ট’ নামক ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ব্রততী দত্ত জানান, ওই দুই নাবালিকার বাবা দিনমজুর। পাঁচ মেয়েকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বাস। মেয়েরা জানিয়েছে, তাদের বাবা প্রায়ই নেশা করে বাড়িতে অশান্তি করেন। সাত তাড়াতাড়ি পাঁচ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যস্থতায় দুই বোন ফের স্কুলের আঙিনায় পৌঁছে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।
https://youtu.be/-uvV_NBwdoY
তারা বলে, “পড়াশোনা ছাড়ার ইচ্ছে কোনও দিনই আমাদের ছিল না। পরিস্থিতির চাপে পড়ে জীবনটাই নষ্ট হতে বসেছিল। এখন আবার স্কুলের যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যেন নতুন জীবন ফিরে পেলাম”। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর