ব্যুরো নিউজ, ১ ডিসেম্বর: ফের সাইবার ক্রাইমের স্বীকার প্রবীণ দম্পতি
ফের সাইবার ক্রাইমের স্বীকার হলেন কলকাতার এক প্রবীণ দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের এ ই ব্লকে। গত মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, সাইবার ক্রাইমের ওই ঘটনার দিন সকালে স্বামী সুশীলকুমার চৌধুরী গিয়েছিলেন ব্যাঙ্কে। তাঁর স্ত্রী চন্দনা চৌধুরী তৈরি হচ্ছিলেন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্যে। সেই সময়ে চন্দনার কাছে একটি ফোন আসে। তাঁকে সেই সময় জানানো হয়, দ্রুত কেওয়াইসি জমা না দিলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ঘটনাচক্রে ওই ফোনের সময়ে তাঁর স্বামী ব্যাঙ্কেই ছিলেন। সেই ব্যাঙ্কেরই সহকারী ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়ে সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জন ফোন করেছিল বলে জানান চন্দনা। বৃদ্ধার কথায়, “আমাকে ধমক দিয়ে বলা হয়, কেওয়াইসি না দিলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি তখন বললাম, চিকিৎসকের কাছে যাব। লোকটি আমার কোনও কথাই শুনছিল না। আমাকে ভয় দেখিয়ে দু’টি ফোনের নম্বর চেয়ে নেওয়া হয়। জেনে নেওয়া হয় প্যান কার্ড ও চেকের নম্বরও। ভয় দেখিয়ে আমাকে বোকা বানানো হয়।” বৃদ্ধা জানান, তাঁর দু’টি ফোন নম্বরের একটিতে ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে কথা বলে অন্য ফোনে কী কী করতে হবে, সেই নির্দেশ দিচ্ছিল।
প্রতারণার শিকার বিধায়কের প্রাক্তন দেহরক্ষী
সল্টলেকের এ ই ব্লকের ওই দম্পতির সাথে ঘটা এইরকম ঘটনা নতুন নয়। মাস দুয়েক আগে এ ই ব্লকের বাসিন্দা ধৃতীশচন্দ্র ধরের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়, তাঁর বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। একটি নম্বর পাঠানো হয় কথা বলার জন্য। ধৃতীশ সেই নম্বরে ফোন করলে তাঁকে তাঁর ফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। ধৃতীশ তা করতেই ফোনটি হ্যাক করে নেওয়া হয়। হ্যাকারেরা ফোন নম্বরটি ব্যবহার করে দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা সরিয়ে নেয়।
সল্টলেকের ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকেরা জানান, লাভজনক বিনিয়োগের টোপ দিয়ে, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে অথবা বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়ার হুমকি-বার্তা পাঠিয়ে ‘শিকার’ ধরে এই সাইবার অপরাধীরা। এ সব থেকে বাঁচতে সন্দেহজনক কারও ফোন এলেই সতর্ক হতে বলছে পুলিশ। সাথে সেই ফোনের কথা থানাতেও জানাতে বলছে পুলিশ। ইভিএম নিউজ