নেতাদের

ব্যুরো নিউজ, ২৯ নভেম্বর: ধৃত নেতাদের নিয়ে ভিন্ন সুর! কী বললেন বাবুল?

নেতাজি ইনডোরের সভায় কড়া ভাষায় বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের পাশেই রয়েছে দল। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি না বালুরা চোর!’’

CESC- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল

এবার উল্টো সুর শোনা গেল বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, মানিক জেলে, বালু জেলে। এটাই চলবে? যখন আপনারা আগামী দিন চেয়ারে থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন, সেলে না কোলে?’ এমনকি তৃণমূল সুপ্রিমো এও বলেন যে, চারের বদলে আট জনকে গ্রেফতার করা হবে। আর এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিধানসভা। অধিবেশনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের নাম করে ‘চোর’ বলে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কেরা। সভা থেকে বেরিয়ে পাল্টা জবাব দেয় বাবুল। তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা মানছি যে, আমাদের কিছু নেতা কিছু ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগও রয়েছে। আদালত এবং বিচারব্যবস্থা পুরোটা দেখছে। পার্টি অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ওদের সঙ্গে নেই। পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।’’

তবে বাবুল সুপ্রিয়র কথা বাস্তব ঘটনার সাথে পুরোপুরি মিল নেই। কারণ পার্থকে গ্রেফতার করার পর তাঁর মন্ত্রিত্ব ও দলের মহাসচিব পদ কেড়ে নেওয়া হলেও জ্যোতিপ্রিয় এখনও মন্ত্রী পদে বহাল রয়েছেন। আর এদিকে অনুব্রতর গ্রেফতারির প্রায় ১৫ মাসের বেশি সময় পর তার সভাপতি পদ খারিজ করা হয়। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমো এও জানান যে, ‘কেষ্ট যত দিন না ফিরছে, তত দিন কোর কমিটি বীরভূমের সংগঠনের কাজ চালাবে’। এছাড়াও দলের অন্দর থেকে ভেসে আসছে অনেকরকম কথা। এমনকি কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তীকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ অভিযুক্ত মানেই সে দোষী প্রমাণিত নয়।’
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দল কি সত্যিই ধৃত নেতাদের পাশে নেই? ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর