ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।
শুভেন্দু অধিকারী যেতে পারবেন সন্দেশখালিতে। যে জায়গাগুলিতে ১৪৪ ধারা লাগু নেই সেই জায়গাগুলিতে অনায়াসেই যেতে পারবেন বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই জানান বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
দুই গ্রেফতারে মিষ্টি বিলি সন্দেশখালিতে
সন্দেশখালি যেতে বারবার বাঁধা দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয় মামলা। সোমবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠে সেই মামলা। মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী সওয়াল করেন, ১৪৪ ধারা যে স্থানে ছিল তার আগেই কেন বিরোধী দলনেতাকে আটকে দেওয়া হল? এর পাল্টা রাজ্যের দাবি, শুভেন্দু সন্দেশখালির বাসিন্দা নন। ফলে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে তাঁর মামলা করার অধিকার নেই।
১২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সায়েন্সসিটির কাছে তাকে আটকে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা যে কোনও জায়গার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে, সেখানে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি ১৪৪ বৎবত হয়ে থাকে তবে সেটা শুধু ওই এলাকায়, গোটা এলাকায় নয়। কিন্তু ৩০ কিমি আগেই তাঁকে কেন আটকে দেওয়া হবে? আদালতে এই সাওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার।
এই সওয়ালের পর বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, সংবিধান অনুযায়ী যে কোনও সাধারণ নাগরিক ভারতের যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। এতে কোনও বাধা নেই। তবে যে যে এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই সেই সব জায়গায় যেতে কোনও বাধা নেই শুভেন্দু অধিকারীর।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারও শুভেন্দু অধিকারী-সহ চার বিধায়ক সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। শেষে সরবেড়িয়ায় তার পথ আটকে দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারির কারন দেখিয়ে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ৪ জন অনায়াসেই একসঙ্গে যেতে পারে বলে জানান শুভেন্দু। এরপরেও শুভেন্দু-সহ ওই চার জন বিধায়ককে এলাকায় ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ঘটনায় সরবেড়িয়াতেই ধরনা অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু।