ব্যুরো নিউজ, ২১ জানুয়ারি :আমেরিকায় লিঙ্গের পরিচয়ের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি নীতিতে লিঙ্গের দুটি নির্দিষ্ট পরিচয়— পুরুষ এবং মহিলা— কে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সোমবার শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, সরকারের সব নথিপত্রে এখন শুধুমাত্র এই দুটি লিঙ্গ উল্লেখ করা হবে। তিনি বলেন, “আমেরিকার সরকারি নীতি অনুসারে শুধুমাত্র দু’টি লিঙ্গ থাকবে— পুরুষ এবং মহিলা।”
নীতি পরিবর্তন
এরপর শীঘ্রই ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে জানিয়েছেন, যার মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য সরকারি নথিপত্রে শুধুমাত্র পুরুষ এবং মহিলা হিসেবে লিঙ্গের উল্লেখ থাকবে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের আওতায়, শারীরিক গঠন অনুযায়ী যে ব্যক্তি যে লিঙ্গের, তা-ই সরকারি নীতিতে উল্লেখ হবে। কোনো পুরুষ নিজেকে মহিলা বা কোনো মহিলা নিজেকে পুরুষ মনে করলেও, সরকারি নথিতে তাদের পরিচয় অনুযায়ী লিঙ্গের উল্লেখ করা হবে না।এটি সেই নীতির বিরোধী, যা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর প্রথম শপথের দিনেই চালু করেছিলেন। বাইডেন রূপান্তরকামীদের জন্য সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে সেই নীতি পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিলেন তিনি।
শীতের রাতে কুলতলিতে বাড়ির উঠোনে বাঘের হানা, কি হল পরিবারের?
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলি। ‘হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেন’-এর সভাপতি কেলি রবিনসন এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা পিছু হটছি না। ভয়ও পাচ্ছি না। আমরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।”প্রতিবাদীদের দাবি, এই নীতি রূপান্তরকামী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করতে পারে, কারণ এটি তাদের পরিচয়কে সরকারিভাবে অস্বীকার করে।এখন দেখার বিষয়, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর কিভাবে আমেরিকার সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।