ব্যুরো নিউজ,১৮ জুলাই: পুজোর আর বেশি দেরি নেই। শুরু হয়ে গিয়েছে সমস্ত পরিকল্পনা। আর বিশ্বজুড়ে আপামর বাঙালি সারা বছর ব্যস্ততার মধ্যে অপেক্ষায় থাকেন, কখন আসবে দুর্গাপুজো। বাঙালির কাছে এই শারদোৎসব সারা বছরের ব্যস্ততা থেকে সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে আনন্দের মধ্যে বেশ কটা দিন কাটিয়ে দেওয়া। খাওয়া দাওয়া, ঘোরাফেরা সমস্ত কিছুই রয়েছে এই তালিকায়। এখনো যদি পুজোয় কোথায় বেড়াতে যাবেন, কোনো প্ল্যান করে না থাকেন, তাহলে ঘরের কাছেই অথচ দুর্দান্ত একটি মনোমুগ্ধকর জায়গায় কটা দিন ঘুরে আসতে পারেন।
ঘুরে আসি নির্জন ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম ফিক্কালে গাঁও
বেড়ানোর যাবতীয় তথ্য রইল,দেখে নিন:
আজ থেকে ১৮ বছর আগে সংবাদ মাধ্যমে এই জায়গার নাম উঠে আসে। কিন্তু তখন অনাহার মানুষের একরকম সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। এই এলাকার আদিবাসী, প্রান্তিক মানুষগুলো অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাতেন। তার মধ্যেই কিছু মানুষ অনাহারে মারা যান। আর এই কারণেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে আমলাশোল।
ঘুরে আসি: কালিম্পং-এর শেরপাতার
তবে এখন আর সেই দিন নেই। আমলাশোল পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে। আমলাশোলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অপূর্ব পাহাড় ঘেরা সুন্দরী গ্রাম, আদিবাসী মানুষদের সরল জীবন যাপন, আপনি একেবারে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আমলাশোলের কাছেই রয়েছে কাঁকড়াঝোড়। জঙ্গলমহল এলাকায় এই জায়গাগুলো ঘুরে সবুজ প্রকৃতির কোলে কটা দিন নির্জনে নিভৃতে কাটিয়ে দিতে পারেন।
ঘুরে আসি: কালিম্পংয়ের এক অজানা গ্রাম গোকুল
আমলাশোল এমনই একটি জায়গা, আপনি যদি সাইট সিন বলতে যা বোঝায়, তা যদি নাও করেন, শুধুমাত্র এই গ্রামে বসেই কটা দিন কাটিয়ে দিতে পারেন। প্রকৃতির কোলে সবুজ জঙ্গলের মধ্যে পাহাড় ঘেরা গ্রামে আদিবাসীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে আনন্দ অনুভব করবেন। তবুও কাছাকাছি যেতে পারেন– ঘাটশিলা, দলমা পাহাড়, চান্ডিল জলাধার। রয়েছে ঢাঙ্গিকুসুম, খাগড়া জলপ্রপাত, লালজল গুহাসহ আরো অন্যান্য পর্যটন স্থল।
আমলাশোল যাওয়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। হাওড়া থেকে বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, ইস্পাত এক্সপ্রেস সহ একাধিক ট্রেন রয়েছে। তাতে করে সোজা ঘাটশিলা পৌঁছে যান। সেখান থেকে ৪৫ মিনিট সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারেন আমলাশোল।
ঘুরে আসি: কালিম্পং-এর মাইরুং গাঁও
কোথায় থাকতে পারেন– এই মুহূর্তে আমলাশোল, কাঁকড়াঝোড়, বেলপাহাড়ি লাগোয়া এলাকায় বহু হোমস্টে এবং রিসর্ট রয়েছে। তার মধ্যে থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। সেখানে অধিকাংশ হোমস্টেতেই থাকা খাওয়া সমেত প্যাকেজ রয়েছে। তবে আমলাশোল বেড়াতে গিয়ে একটি কথা মাথায় রাখবেন, অপরূপ সুন্দর এই প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে আপনি এমনিতেই হারিয়ে যাবেন। তার কারণ, এখনো পর্যন্ত সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রায় নেই বললেই চলে। দূরে কোনো শহরাঞ্চলের কাছাকাছি জায়গায় আসলে সেটা পেতে পারেন। আর সেটাই আরো আকর্ষণীয় করে তোলে এই ভ্রমণ।