ব্যুরো নিউজ,২৮ আগস্ট: আর জি কর হাসপাতালে মৃতা তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য। দাবি একটাই দোষীদের সনাক্ত করা এবং তাদেরকে উচিত শাস্তি দেওয়া। ঘটনার পর প্রায় ১৯ দিন কেটে গেলেও দোষীদের এখনো ধরা যায়নি। একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় কে ঘটনার দিনে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু আদৌ সে কি আসল দোষী সেটার উত্তর এখনো অজানা। আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাটির মূল মাথা এখনো পর্যন্ত অধরা। প্রসঙ্গত আরজি কর হাসপাতালে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে এবং আরজিকর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ দের।
উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার নিয়োগের জট কাটল
কি বললেন তারা?
এই ঘটনায় স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে ‘রাত দখল’ করে মহিলারা। সারা রাজ্য জুড়ে চলে রাত দখল। ৮ থেকে ৮০ শুধু মহিলারাই নন পুরুষরাও ওই রাত দখলের লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন। স্লোগান উঠেছিল ‘জাস্টিস ফর আরজিকর’। আরজিকর কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে দেখা যায়নি। বরং তিনি অপরাধীদের রক্ষা করেছেন। তার ফলে জনরোষ তৈরি হয় এবং মানুষ পথে নামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে। ২৭শে আগস্ট ছাত্র সমাজের ডাকে সাধারণ মানুষ নবান্ন অভিযান করেছিল। নবান্ন অভিযানে তাদের আন্দোলন ব্যর্থ করতে রাজ্য সরকারের পুলিশ তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায়। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, প্রয়োগ করা হয় জলকামান এবং মারধরও করা হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের এই বর্বরোচিত আচরণের জন্য ২৮শে আগস্ট বাংলা বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি।
হাতের নাগালেই চটজলদি মিলবে লোন,নয়া সিস্টেম RBI-এর
এই নবান্ন অভিযান কে কভার করার জন্য সমস্ত চ্যানেলের সাংবাদিকরা সেখানে জড়ো হন। তাদের ওপরও পুলিশ অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকেনি। সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন টলিউডের কলাকুশলীরা। সুদীপার রান্নাঘর খ্যাত সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জন্য একটি পোস্ট করেন সমাজ মাধ্যমে। তিনি লেখেন “সাংবাদিকদের কেন মাথায় হেলমেট নেই তারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জন্য খবর পরিবেশন করতে গিয়ে জখম হলে তার দায়িত্ব কে নেবে? তারাও কারো স্বামী, ভাই, সন্তান, মা,বোন,স্ত্রী…”। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন আরো অনেক টলিউডের কলা কুশলীরা।