ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে ধর্নায় বসতে চায় বিজেপি। প্রথমে পুলিশের কাছে এই ধর্নার আবেদন জানালে তা নাকোচ করে দেয় পুলিশ। এরপরেই বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্ত হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ধর্নায় বসার অনুমতির চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সুকান্ত। আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে সুকান্ত মজুমদারের সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সুকান্তদের ধর্নায় বসার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। তবে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত।
সন্দেশখালি কাণ্ড: জামিন পেলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার
সন্দেশখালি: কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভেঙে অতি সক্রিয় পুলিশ
সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচি নেয় বিজেপি। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দিলে সেই জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তবে সেক্ষেত্রে ধর্নার অনুমতি মিললেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত।
বিজেপি তিন দিন ধর্না কর্মসূচী করতে চাইলেও আদালত দু’দিনের অনুমতি দেয়। আগামি ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই প্রতিবাদি ধর্নার অনুমতিদেয় বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সেক্ষেত্রে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাবে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভাবে সেই কর্মসূচি করতে হবে। লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। কোনও বে-আইনি কার্যকলাপ করা যাবে না। উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীন এই ধর্না হওয়ায় নজর রাখতে হবে যেনও এই ধর্নার কারনে পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়। পাশাপাশি বিচারপতি এও জানান, ১৫০ জন কর্মী- সমর্থক এই ধর্নায় যোগ দিতে পারবে।
সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব প্রতিবাদ- ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনায় কলকাতায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আদালতের নির্দেশে আগামী ২ দিন গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না করবে গেরুয়া শিবির।