মিঠুন নিউজ ১১ জুন: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র টেনিদা সত্যিই ছিলেন, এবং তিনি শুধু কল্পনার মানুষ নন—তিনি হাড়-মাংসের এক জীবন্ত ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি লেখক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী ও বাড়িওয়ালা ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট ও হ্যারিসন রোডের সংযোগস্থলের এক গলিতেই ছিল সেই ঐতিহাসিক ঠিকানা—২০ নম্বর পটলডাঙার স্ট্রিট। এখানেই এক সময় আড্ডা জমতো চাটুজ্জেদের রোয়াকে, যেটা আদতে ছিল মুখার্জিদের রোয়াক, তবে সাহিত্যিক কল্পনায় বদলে গেছে নাম।
“চাটুজ্জেদের রোয়াক”
নারায়ণবাবু থাকতেন ২০এ নম্বর দোতলায়, আর টেনিদা থাকতেন ২০ নম্বরের দোতলায়। বাড়ির প্রতিটি কোণ, প্রতিটি রোয়াক, প্রতিটি সিঁড়ি যেন ছিল গল্পের পাত্র। যৌথ পরিবারে বসবাস করতেন প্রভাতবাবু। পরে একে একে সব সদস্যই সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ২০০৩ সালের আশপাশে প্রভাতবাবুর মৃত্যু হয়, পরে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেও পাড়ি জমান অন্য কোথাও।
টেনিদার সেই রোয়াক এখন আর নেই। পুরনো রোয়াকের জায়গায় উঠেছে নতুন কাঠামো। পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো রিমডেলিং করে তৈরি হয়েছে নতুন বাসস্থান, স্মৃতি খুঁড়ে দেখার কোনও দাগ আর নেই। ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকা সেই “চাটুজ্জেদের রোয়াক” বাস্তবে এখন কেবল মুখার্জিদের পুরোনো স্মৃতি।
স্টারলিঙ্কের ভূপতনে মাস্কের স্বপ্ন চূর্ণ ? যা ঘটেছে !!!
এইসব গল্প প্রমাণ করে, সাহিত্য শুধু কল্পনায় সীমাবদ্ধ নয়—তাতে জীবনের বাস্তব ছাপও লেগে থাকে। টেনিদা ছিলেন বাস্তব চরিত্র, যিনি “ডি-লা-গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক” বলে আড্ডার রসদ জুগিয়েছেন, আবার একইসঙ্গে কালজয়ী চরিত্র হয়ে উঠেছেন বাংলার সাহিত্যে। ইতিহাস সত্যিই হারিয়ে যায়—যদি আমরা তাকে ধরে না রাখি।