ব্যুরো নিউজ ০৪ জুলাই : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘দক্ষিণ বিশ্ব’ ( Global South ) সফরের উদ্দেশ্যে গত বুধবার ঘানার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। একদিন পরেই তিনি ঘানা ছেড়ে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর দিকে যাত্রা করেন। এই সফরকালে তিনি বিভিন্ন দেশের নেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ভারতের বৈচিত্র্যময় হস্তশিল্পের নিদর্শন, যা ভারতীয় সংস্কৃতির এক ঝলক তুলে ধরছে।
সফরের সূচনা ও উদ্দেশ্য
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ দেশীয় সফরে বেরিয়েছেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও হস্তশিল্পের ঐতিহ্য তুলে ধরা। প্রতিটি গন্তব্যে তিনি সে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বদের হাতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষ উপহার সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
ঘানার পার্লামেন্টে ভাষণ ও স্পিকারকে উপহার
ঘানায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী সে দেশের পার্লামেন্টের একটি অধিবেশনে যোগ দেন এবং এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদান করেন। ঘানার পার্লামেন্টের স্পিকার আলবান বাগবিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমন দেখে বিশেষ উচ্ছ্বসিত ছিলেন এবং তাঁর প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
নতুন দিল্লির সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘানার পার্লামেন্টের স্পিকারকে ভারতের বৈচিত্র্যের এক নিদর্শন হিসেবে উপহার দিয়েছেন বাংলায় তৈরি একটি শ্বেতপাথরের হাতি। এটি ভারতের সমৃদ্ধ হস্তশিল্পের একটি চমৎকার উদাহরণ, যা ভারতের কারিগরদের নিপুণ হাতের কাজকে তুলে ধরে।
প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীকে ভারতের বৈচিত্র্যময় হস্তশিল্প
ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামাকে মোদী উপহার দিয়েছেন কর্ণাটক থেকে আসা কাঁচের তৈরি একটি সুন্দর আলংকারিক ফুলদানি। এই ধরনের ফুলদানি কর্ণাটকের গ্রামীণ এলাকায় পিতল ও তামা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যেখানে কাঁচের কাজ একটি প্রধান হস্তশিল্প। এই উপহারের মাধ্যমে তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেন। শুধু প্রেসিডেন্টকেই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীর জন্য হাতে তৈরি একটি রূপার হাতব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন, যা ওড়িশার কটকের তারাকাসি হস্তশিল্পের প্রতীক। কটকের একটি গ্রামে বিগত ৫০০ বছর ধরে বিভিন্ন রূপার জিনিস তৈরি হয়, যা এই অঞ্চলের প্রাচীন কারুশিল্পের ধারাকে বহন করে।
মোদীর ট্রাম্পকে সাফ বার্তা ‘ যুদ্ধ বিরতিতে আপনার কোনও ভূমিকা নেই ‘
উপ-রাষ্ট্রপতিকে কাশ্মীরি পশমিনা: ভারতীয় কারুশিল্পের বৈশ্বিক প্রদর্শন
এরপর ঘানার উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। তাঁর জন্য প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর থেকে একটি বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদী দক্ষিণ আফ্রিকার সেই দেশের উপ-রাষ্ট্রপতিকে কাশ্মীরের বিখ্যাত পশমিনা শাল উপহার দেন, যা কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি। এই পশমিনা শাল তার সূক্ষ্মতা এবং উষ্ণতার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। এভাবেই নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় কারুশিল্পের বৈচিত্র্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়েছেন।