image

ব্যুরো নিউজ,৫ সেপ্টেম্বর: প্রশান্ত মহাসাগরে জলের উষ্ণতা দ্রুত কমে যাওয়ার কারণে এবার উত্তর ও মধ্য ভারতে নানা জায়গা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বাড়তে চলেছে শীতের দাপট। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুসারে “এল নিনার” দাপটে উত্তর ভারতের সমভূমি ও মধ্য ভারতের মালভূমি সহ ভারতবর্ষের বহু এলাকায় এবার সেপ্টেম্বর থেকেই হাড় কাঁপানো শীত পড়বে বলে মনে করছেন কর্তারা।

ইডির  জেরার মুখে রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ

বাংলায় কি শীতের হাওয়াই লাগবে নাচন?

প্রশান্ত মহাসাগরের জলের উপরের দিকের স্তরে উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা হতে থাকলে তাকে বলা হয় “লা নিনা “। আর ওই জলস্তর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উষ্ণ হলে তাকে বলা হয় “এল নিনো”। প্রবীণরা মনে করেন বেশি বৃষ্টিপাত হলে সে বছর ঠান্ডা বেশি পড়ে । কিন্তু বৃষ্টি বেশি হলে শীত বাড়ে এমন ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। “লা নিনা” ভারতের বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি করে। অপরদিকে “লা নিনা” বেশি স্থায়ী হলে শীত অনেক বেশি পরিমাণে পড়তে পারে। “লা নিনা” স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে এলোমেলো করে দেয় । দেখা গেছে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাণিজ্য বায়ু বিষুব রেখা বরাবর প্রবাহিত হয় ।

শুধু চা সিগারেট খেয়েই ধার প্রায় ২৪ হাজার! মাথায় হাত ক্যান্টিন মালিকের

এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে উষ্ণ জলের স্রোত এশিয়া মহাদেশের দিকে আসে। এর জন্য সমুদ্রের গভীরে ঠান্ডা জল উপরের দিকে উঠে আসে ।  “লা নিনা” সমুদ্রের উপরের জলস্তর আরও ঠান্ডা করে দেয়। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আরো বাড়তে পারে “লা নিনার” দাপট । আর সেই জন্যই মৌসম ভবন আগাম সর্তকতা জারি করেছে।। এর আগেও সাইবেরিয়ান হাই এর প্রভাবে সাইবেরিয়ার আকাশে শুকনো অতিরিক্ত ঠান্ডা হওয়া দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয় । তার ফলেই রাজস্থান ,পাঞ্জাব , দিল্লী , হরিয়ানা , উত্তর প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ দেখা গিয়েছিল। গত শীতেও একইভাবে ঠান্ডার প্রকোপ ছিল অনেক বেশি । উত্তর ও মধ্য ভারতে মানুষ হাড়ে হাড়ে তার টের পেয়েছিল । এবার তার চেয়ে অনেক বেশি দাপট দেখা যাবে “লা নিনা” কারণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর