ব্যুরো নিউজ ১২ নভেম্বর : প্রায় নয় বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। অবশেষে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন ঋতুপর্ণা সাহার মতো বহু প্রতীক্ষারত প্রার্থী। সোমবার এসএসসি অফিসে গিয়ে নিয়োগপত্র হাতে পান ঋতুপর্ণা। ছোট্ট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন স্মরণীয় এই মুহূর্তটি উদযাপন করতে। তিনি জানান, “আমি পরীক্ষা ভালোই দিয়েছিলাম, জানতাম চাকরি পাব। তবে যখন পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তখন অবিবাহিত ছিলাম। আজ ছেলেকে কোলে নিয়েই নিয়োগপত্র পেলাম।”
বউবাজারে নতুন সুড়ঙ্গ নির্মাণে এগোচ্ছে কাজ, ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগ
অনেকেই চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন
এদিন সকাল ১১টায় বিধাননগরে এসএসসি অফিসে কাউন্সেলিং শুরু হলে চাকরিপ্রার্থীদের উচ্ছ্বাসে জমে ওঠে পুরো এলাকা। বহুদিনের আন্দোলন ও স্মারকলিপির পর অবশেষে স্বপ্নপূরণের আনন্দে মুখর হয়ে ওঠে পরিবেশ। বহু পরিবার এসেছিলেন প্রিয়জনের এই বিশেষ মুহূর্তে অংশ নিতে।ঋতুপর্ণা ছাড়াও অন্তরা সোম, শিপ্রা বিশ্বাসসহ অনেক হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা খুশির মুহূর্তটি উদযাপন করেন। বাংলা বিভাগের অন্তরা সোম বলেন, “আমাদের প্রতীক্ষা শেষ হলো। এই নিয়োগের জন্য প্রশাসন, এসএসসি, শিক্ষা দপ্তর—সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। পরিবারের খুশি আর বন্ধুদের আনন্দে সত্যিই আজকের দিনটা বিশেষ হয়ে উঠল।”যদিও অনেকেই এই শিক্ষকের চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন বা কাউন্সেলিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। বাংলা এবং ইংরেজি বিভাগে ৭০৭ জনকে ডাকা হলেও ১৪৪ জন অনুপস্থিত ছিলেন বা চাকরি নিতে রাজি হননি। দীর্ঘকাল নিয়োগ আটকে থাকায় অনেকেই অন্যত্র চাকরি নিয়ে নিয়েছেন, কেউ কেউ সরকারি বা কেন্দ্রীয় দপ্তরে স্থায়ীভাবে যোগ দিয়েছেন।
সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার শিবকুমার গৌতম, জানালেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশ ছিল
দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর রাজ্য সরকার উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পুনরায় শুরু করায় শিক্ষকদের এই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হয়েছে। পুজোর আগেই এই প্রক্রিয়া চালু হয়। তবে অনেকে এত বছর পর আর শিক্ষকের চাকরি নিতে আগ্রহী নন।