ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি:ট্যাংরা কান্ডে, প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু বলে ধারণা করা হয়েছিল নাবালিকার সেখানে এখন নতুন পাকা প্রমাণ উঠে এসেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রিয়ম্বদার মৃত্যুর কারণ ছিল শ্বাসরোধ, যা হত্যার দিকে ইঙ্গিত করছে। তবে এই নতুন রিপোর্টের পর তদন্তকারীরা শ্বাসরোধের ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিলেন।
গোবিন্দা ও সুনীতা আহুজার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন? কি মন্তব্য কশ্মীরা শাহের ?
হত্যা না আত্মহত্যা?
এখন প্রশ্ন উঠছে, প্রিয়ম্বদার মৃত্যু নিশ্চিত করতে কি তাকে শ্বাসরোধ করা হয়েছিল? পুলিশ মনে করছে, প্রিয়ম্বদার মৃত্যু হত্যা ছিল, এবং তারা তদন্তে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নতুন তথ্য খুঁজে বের করতে মরিয়া। এদিকে, তদন্তকারীরা খুঁজছেন আরও তথ্য, যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারেন যে এই মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা ছিল।
এছাড়াও, ট্যাংরা কাণ্ডে আরও একটি বিপত্তি দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত প্রণয় দে, তাঁর নাবালক ছেলে এবং প্রণয়ের ভাই প্রসূনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালের বিল নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়েছে, কারণ এই তিন জনের কেউই বিল পরিশোধ করতে রাজি হননি। ফলে এই বিষয়টি পুলিশকেও অস্বস্তির মধ্যে ফেলেছে।
উত্তর-পশ্চিম কঙ্গোয় অজানা রোগে ৫৩ জনের মৃত্যু, উদ্বেগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এর পাশাপাশি, যখন প্রসূন এবং প্রণয়কে পুলিশ কাস্টডিতে নেওয়া হয়, তখন নাবালক ছেলেটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও সমস্যার সৃষ্টি হয়। ছেলেটির একমাত্র আত্মীয়, মামা এবং মামি, এই বাচ্চার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছেন। ফলে, তাকে হোমে পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়, তবে সেখানেও আইনগত জটিলতা দেখা দিয়েছে।এভাবে, ট্যাংরা কাণ্ডে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে এবং পুলিশ নতুন নতুন তথ্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে অনেক কিছু পরিষ্কার হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত হত্যার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।