ব্যুরো নিউজ,২৭ সেপ্টেম্বর:সুইৎজ়ারল্যান্ডে এক মিনিটেরও কম সময়ে ব্যথা-বেদনাহীন মৃত্যুর ব্যবস্থা করেছে একটি যন্ত্র, যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। শ্যাফহাউসেনের পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার এই যন্ত্রের প্রথম ব্যবহার হয়। ৬৪ বছর বয়সি এক আমেরিকান বৃদ্ধা এই যন্ত্রের মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করেন, এর পরেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার যারা হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ওই যন্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থার সহ-সভাপতি ফ্লোরিয়ান উইলেট, একজন ডাচ সাংবাদিক এবং দুই সুইস নাগরিক। অভিযোগ, বৃদ্ধার মৃত্যুর সময় শুধু ফ্লোরিয়ানই উপস্থিত ছিলেন। সুইজ়ারল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রী এলিজাবেথ বাউমে-শ্লেইডার বলেছেন, এই যন্ত্রটি পণ্য সুরক্ষা আইন মেনে চলে না এবং নাইট্রোজেন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আইনগত সমস্যা রয়েছে। তবে যন্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থাটি দাবি করেছে যে, ব্যবহারের আগে তারা আইনি ছাড়পত্র পেয়েছিলেন।
ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকঃ রণবীর আল্লাহবাদিয়ার উপর সাইবার হামলা
‘সারকো পড ক্যাপসুল’ কি?
এই যন্ত্রটির নাম ‘সারকো পড ক্যাপসুল’। এটি গোলাকার কফিনের মতো দেখতে এবং ২০১৯ সালে এর প্রাথমিক মডেল তৈরি হয়। ২০২১ সালে এই যন্ত্র ব্যবহারের জন্য আইনসম্মত ছাড়পত্র পায়। এটি বহনযোগ্য, অর্থাৎ যেখানে প্রয়োজন সেখানেই নিয়ে যাওয়া যায়। একবার কফিনের মতো ভেতরে শুয়ে পড়লে ব্যবহারকারী মাত্র এক বোতাম টিপে স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করতে পারেন। যন্ত্রটি কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। নাইট্রোজেন ভর্তি হওয়ার পর ব্যবহারকারী অল্প সময়ে অচেতন হয়ে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান।
প্রতারণার অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে
সুইৎজ়ারল্যান্ডে নাগরিকদের আত্মহত্যার অধিকার রয়েছে। সেখানে ২০২০ সালে ১৩০০ জনকে আত্মহত্যায় সহায়তা করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতে এই ধরনের বিষয়গুলি এখনও আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। সুইজ়ারল্যান্ডের এই ঘটনার পর, সেখানে আত্মহত্যার অধিকার এবং সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা, সামাজিক নীতি এবং মানবাধিকার—এই সবকিছুই একসঙ্গে উঠে আসছে নতুন আলোচনায়।