ব্যুরো নিউজ, ১৪ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডে গতকাল থেকেই প্রতিবাদে নেমেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গতকাল হুলুস্থুলু কাণ্ড ঘটে সুকান্তর প্রতিবাদ ঘিরে। পুলিশের ব্যরিকেড ভেঙে এগিয়ে চলে সুকান্তর মিছিল। তবে এটুকুই নয়। আজও নানা কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। সেই মতো গতকাল রাতে টাকির কাছে এক হোটেলে থেকে যান সুকান্ত মজুমদার।
আজ সকাল থেকে সেই হোটেল ঘিরে ফেলে পুলিশ। মোতায়েন করা হয় পুলিশ। হোটেলের বাইরে যাতে সুকান্ত কোনওভাবেই বের হতে না পারেন সেই চেষ্টা করা হয়। হোটেলের বাইরে পৌছায় পুলিশের বড় কর্তারা। তবে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনায়াসেই বেড়িয়ে গেলেন সুকান্ত।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত বারুইপুর | তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টায় গ্রেফতার
সরস্বতী পুজো করার জন্য হোটেলের গেট দিয়ে বের হন অন্যান্য কর্মীরা। সেখানেও পুলিশি বাধা। বাইরে ১৪৪ ধারা জারি তাই বাইরে বেরনো যাবে না। পুজো করতে হলে হোটেলের মধ্যেই করতে হবে। এই নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বচসার সময় পেছনের গেট দিয়ে বেড়িয়ে যান সুকান্ত মজুমদার। এরপর ইছামতীর ধারে পৌঁছে পুজো করেন সুকান্ত। ঘটনায় ইছামতীর তীর ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখানেও চলে ফের বচসা-অশান্তি।
পুলিশের গাড়ির উপর উঠে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সেই নিয়ে বাধে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ঠেলাঠেলি-ধস্তাধস্তি-বিশৃঙ্খলার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান সুকান্ত। চোখেমুখে জল ছিটিয়ে সংজ্ঞা ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তারপরেই গাড়িতে তুলে বসিরহাট হাসপাতালের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সকাল থেকে উপোস ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেই অবস্থাতেই পুলিশের গাড়ির উপর উঠে জোরে জোরে স্লোগান দিতে দিতেই শুয়ে পড়েন বনেটের উপর। এরপর ধস্তাধস্তি চলাকালীন গাড়ি থেকে পড়ে যান তিনি। তারপরই সংজ্ঞা হারান।