ব্যুরো নিউজ, ১৭ এপ্রিল: সকালে উঠে চা থেকে শুরু করে রাতের টেবিলে ডেজার্ট পর্যন্ত সব কিছুতেই মিষ্টি। বাঙালির কাছে মিষ্টির জুরি মেলা ভার। আর তাই যে কোনও খাবার হোক বা মিষ্টি সেক্ষেত্রে চিনির ব্যবহারই সব থেকে বেশি। তবে যদি এই চিনিকেই মেনু থেকে সরিয়ে ফেলতে পারেন তবেই কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফল পাবেন নিজের চোখে। খাবার বেশি নুনে পোড়া হয়ে গিয়েছে? চিন্তা নেই, ব্যবহার করুন চটজলদি এই ৪ টোটকা! সকালের বেড টি থেকে দুপুরের শেষ পাতে চাটনি। আর সন্ধ্যায় কেক- কুকিজ থেকে রাতের ডিনার টেবিলের ডেজার্ট। এর একটা না হলেই যেনও দিন চলেনা। তবে এসবেতেই আছে হাই সুগার। এমনকি অনেকক্ষেত্রে তরি-তরকারির স্বাদ বাড়াতেও চিনির ব্যবহার করে থাকি। তা স্বাদে অতুলনীয় হলেও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একেবারেই খারাপ। কারন চিনিতে ব্যবহার করা হয় সালফার। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এমনকি চিনিকে সাদা করতে অনেক ধরণের রাসায়নিক প্রসেস করা হয়। আর সেই সকল রাসায়নিক শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই রিফাইন সুগার কম পরিমাণে গ্রহণ করলে কিছু দিনের মধ্যেই বহু পরিবর্তন লক্ষ করবেন শরীরে। বার্নভিটার মত পানীয়কে আর ‘হেলথ ড্রিংকস’ বলে চালানো যাবে না | নির্দেশিকা সরকারের
চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হবে ম্যাজিক!
একদম প্রথমেই যেই পরিবর্তন লক্ষ করবেন তা হল, ওজন হ্রাস। মিষ্টি জাতীয় খাবার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই চিনি খাওয়া বন্ধ করলে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে। একই সঙ্গে শরীরের মেদ কমলে আপনার কর্ম ক্ষমতাও আগের থেকে অনেক বেশি বাড়বে। শরীরে এনার্জি পাবেন।
চিনি খাওয়া বন্ধ করলে উচ্চ রক্তচাপও কমে। এছাড়া রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকি যাদের ডায়বেটিস নেই তাদের ডায়বেটিসের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করবে। আর রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে গ্লুকোমা হওয়ার প্রনতাও অনেকাংশে কমে। যা চোখের জন্য খুবই ভালো। এছাড়া শরীরে ও মুখে ফোলা ভাব অনেকটা কমবে। ফলে, আপনাকে দেখতে আগের তুলনায় অনেকটাই রোগা লাগবে।