ব্যুরো নিউজ, ৬ মার্চ: দলের মধ্যে চলছে তীব্র অন্তঃ দ্বন্দ্ব। তার জেরেই একে একে ফুঁসে উঠছে দলের নেতৃত্বরাই। এমনকি দল- পদ থেকে ইস্তগা দিয়ে বেড়িয়েও আসছেন অনেকে। সকলেরই প্রায় একই অভিযোগ। কারোর না কারোর সঙ্গে মনোমালিন্য, তার থেকে কলহ। আর এই অভিযোগ ক্ষোভ নিয়েই পদ ছেড়েছেন কুনাল ঘোষ, এমনকি দল ছেড়েছেন তৃণমূলের প্রবীণ যোদ্ধা তাপস রায়।
বেতন বাড়ল আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের
সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দেন তাপস রায়। স্তবপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সরকারি গাড়ি ত্যাগ করে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন। ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টারেটের আধিকারিকরা পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে হানা দেন তাপস রায়ের বাড়িতে। সেই সময় থেকেই তিনি অভিযোগ করেন এই ইডি হানার পেছনে তার দলেরই একাংশের যোগ রয়েছে। এবং দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে উদাসীন থেকেছেন বরাবর। তার বাড়িতে ইডির হানা দেওয়ায় দল তার পাশে থাকেনি বলে একরাশ অভিমান উগরে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। ইডি অভিযান নিয়ে তিনি বলেছেন কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবনে এরকম অপমানিত আর কখনো হইনি। বাম আমলেও রাজনীতি করেছি তখনও কোন পুলিশ বাড়িতে ঢোকেনি। এদিকে আমার বাড়িতে ইডি অভিযান নিয়ে নীরব ভূমিকা মুখ্যমন্ত্রীর। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেছে অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রাজিব কুমার এদের পাশে দাঁড়াতে এবং সম্প্রতি সন্দেশখালীর ঘটনায় যেভাবে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা কক্ষে সওয়াল করেছেন সে ভাবে বিধায়ক তাপস রায়ের পক্ষে তিনি একটি বাক্য ব্যয় করেননি। আর এতেই তিনি অপমানিত হয়েছেন বলে জানান।
অর্জুন আচমকা নবান্নে কেন?
অবশেষে গঙ্গার নীচে ছুটবে মেট্রো | ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে অনেক আগেই। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ‘ঠোঁটকাটা’ মন্তব্যও করতে শোনা যায়। আর তা নিয়েও কম জল ঘোলা হয়নি। যখন দলের একের পর এক যোদ্ধা দল ছাড়ছে, পদ ছাড়ছে সেই অবহেই আচমকাই নবান্নে হাজির ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নাগাদ হঠাৎ নবান্নে আসেন অর্জুন সিং। জানা যায়, প্রায় ১ ঘণ্টা তিনি নবান্নে ছিলেন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সূত্র মারফৎ এও জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ও দলীয় কোন্দল নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
কিন্তু এদিকে অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ‘সৈন্য’ সাজিয়ে রেখেছে দলেরই নেতা সোমনাথ শ্যাম। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং যাতে প্রার্থী না হতে পারে সেই ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে এই বিষয়ে তিনি দলনেত্রীকে চিঠিও লিখেছেন বলে সূত্রের খবর। এই আবহেই আচমকা অর্জুন সিংয়ের নবান্নে আগমনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।