ব্যুরো নিউজ,১৭ এপ্রিল: বলিউডে ‘মহিলা সুপারস্টার’ তকমার প্রথম দাবিদার ছিলেন শ্রীদেবী। তাঁর অভিনয় দক্ষতা, সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের সম্মিলন তাঁকে এনে দিয়েছিল কিংবদন্তির মর্যাদা। তবে এক অজানা অধ্যায় আজও প্রশ্ন তোলে—একজন সেলিব্রিটি কি নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে গিয়ে এতটাই চাপে থাকেন যে, প্রাণও চলে যায়? ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, আচমকাই মৃত্যুর খবর আসে। দুবাইয়ের একটি হোটেলের বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে শুধু এটুকুই কি ছিল শেষ?
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
রূপের জন্য আত্মত্যাগ, না কি আত্মবিনাশ?
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, নিজের শরীর ও রূপ নিয়ে চরম সচেতন ছিলেন শ্রীদেবী। ছিপছিপে গড়ন বজায় রাখার জন্য তিনি প্রায়শই এক বেলা খাওয়া বাদ দিতেন, আবার কখনও সারাদিন না খেয়েও থাকতেন। ওজন না বাড়ে সেই ভয়ে খেতেন না নুন, এমনকি জল খাওয়ার সময়েও চিন্তা করতেন ‘চেহারায় জল জমবে’ কিনা।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
এমন অনিয়মিত জীবনধারা তাঁর রক্তচাপকে স্থায়ীভাবে কমিয়ে দেয়। চোখের সামনে অন্ধকার দেখা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা লেগেই থাকত। চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করলেও, ক্যামেরার সামনে নিজেকে ‘এক্সেলেন্ট’ দেখতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাঁকে থামাতে পারেনি। প্রযোজক ও স্বামী বনি কাপুর জানিয়েছিলেন, একবার অভিনেতা নাগার্জুন বলেছিলেন—একটি ছবির শুটিং চলাকালীন শ্রীদেবী দিনের পর দিন না খেয়ে ছিলেন। একদিন বাথরুমে পড়ে গিয়ে দাঁত ভেঙে যায় তাঁর। এরপরও থামেননি।
এই ‘পারফেকশন’ পাওয়ার লড়াই শেষমেশ তাঁকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, যেখান থেকে আর ফেরা হয়নি। আজও শ্রীদেবীর হঠাৎ মৃত্যু ভক্তদের মনে কষ্ট দেয়। তবে তার চেয়েও বড় শিক্ষা—নিজের সৌন্দর্য ও চেহারার জন্য যদি জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে, তবে সে ‘রূপ’ হয়তো আর কিছুরই নয়।