ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর :নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে ব্যাপক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে, যদিও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তারপরও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পরিবর্তন: আগামী সপ্তাহে কি আবার বৃষ্টির দেখা মিলবে?
জল ছাড়ল ডিভিসি
রোনাল্ডোর অভাব কি আল নাসেরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে?
এদিকে, জল নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিভিসি জল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বুধবার সকালে মাইথন ও পাঞ্চেত— দুই জলাধার থেকেই জল ছাড়ানো হচ্ছে। মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কম হলেও, পাঞ্চেত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জল ছাড়ানো হয়েছে। মাইথন থেকে বুধবার সকাল ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ানো হয়েছে, যা মঙ্গলবারের ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেকের তুলনায় কম। অন্যদিকে, পাঞ্চেত থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ানো হয়েছে, যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৪০ হাজার কিউসেক বেশি।
রণবীরের প্রেমে ঝড়, ক্যাটরিনার কেরিয়ারে ছাপ!
মঙ্গলবার, মাইথন ও পাঞ্চেতের মিলিত জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার কিউসেক। এই জল দামোদর নদ হয়ে পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর ব্যারাজে পৌঁছায়। জলের চাপ বাড়তে থাকলে, বুধবার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ডিভিসি যদি আরও বেশি জল ছাড়ে, তাহলে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা বিশেষ করে বর্ধমান, হাওড়ার খানাকুল ও আরামবাগের মতো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমছে, কিন্তু ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। যদি সেই বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়তে হবে। ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি নজর রাখছেন এবং প্লাবিত এলাকায় পরিদর্শনের জন্য মন্ত্রী ও দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে তিনি ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্লাবন পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ জন সচিবকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।