ব্যুরো নিউজ, ২৭ এপ্রিল: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয়দফা ভোটের দিন ফের উত্তপ্ত হয় সন্দেশখালি। ভোট আবহেই সন্দেশখালিতে অভিযান চালায় সিবিআই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সরবেড়িয়ার আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় অভিযান চালায় সিবিআই। মল্লিকপাড়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালের মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। তাজা বোমার পাশাপাশি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, দেশি ৭ এমএম বোমা, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলে। ভোটের বাজারে অস্ত্র মজুত নাকি ওই স্থানে আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করা ছিল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে অস্ত্রর পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকও মিলেছে। আর সেই বিস্ফোরক নিরাপদে সংগ্রহ করে সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার কাজ করে ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) বম্ব ডিসপোসল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড। এর পাশাপাশি নামানো হয় রোবোটও। এই ঘটনায় কার্যত সরগরম সন্দেশখালি। আর এবার এই ঘটনায় ‘পুলিশের অপদার্থতা’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায়।
সন্দেশখালিতে অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার হতেই সুর চড়ান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই বিষয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি-র শঙ্কুদেব পণ্ডাও। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার বাংলাকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের থেকেও খারাপ জায়গায় নিয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি রাজ্যের ডিজিপি ও পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
একই সঙ্গে সন্দেশখালিতে বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট বলেন, পুলিশই এই অস্ত্র সন্দেশখালিতে ঢুকিয়েছে। এরপরেই তিনি একে একে পুলিশ আধিকারিকদের নামও বলেন। তিনি পুলিশ আধিকারিক ও এসপি মেহেদী হাসানের নাম করে বলেন তাদের সহযোগিতায় অধিকাংশ অস্ত্র ঢুকেছে।
এর মাঝেই দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় শনিবার প্রচারে বেরিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে মন্তব্য করেন। রাজ্যের পুলিশকে ‘অপদার্থ’ বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। সন্দেশখালিতে যেই অস্ত্র রাখুক না কেন, সেই বেআইনি অস্ত্র ধরা তো পুলিশের কাজ। এটা পুলিশের অপদার্থতা। আর পাশাপাশি তিনি বলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকছে বাংলায়।
এই অবস্থায় রাজ্যের পুলিশের দিকেই আঙ্গুল তুলছে বিরোধী শিবির। আর সেই সুরে সুর মেলাচ্ছে তৃণমূল। বলা হচ্ছে কেউ যদি অস্ত্র রেখেও থাকে, তাহলে তা পুলিশের দেখা উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের পুলিশের দিকে যদি আঙ্গুল ওঠে তবে সেই দায় কি রাজ্য সরকারের নয়?