ব্যুরো নিউজ, ৯ ফেব্রুয়ারি: শুক্রবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালি এলাকার বাসিন্দা শিবু হাজরার তিনটি পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরানো হয় তার বসত বাড়িতেও। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রেফতার করা হোক শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে। গতকালও একই দাবি নিয়ে পথে নামে সন্দেশখালির মহিলারা। এরপর কাটারি, দা, বাঁশ, লাঠি হাতে আজও বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন মহিলারা।
উত্তপ্ত জেলিয়াখালি
সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতেই। জানা গিয়েছে, বুধবার শিবু হাজরার অন্য একটি পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আজ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। শেখ শাহজাহান ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা অত্যাচার চালানোর অভিযোগ আনেন। বেশ কয়েক বছর ধরে চাষের জমি ও খাল দখল করে একের পর এক ভেড়ি তৈরি করার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। তবে বৃহস্পতিবার যারা এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বলে দাবি করেছেন।
দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের দ্বন্দ
অভিযোগ, দলের নামের আড়ালে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান শাহজাহান, শিবু, উত্তম ও তাদের সমর্থকেরা। তাদের বক্তব্য, দেওয়ালে তাদের পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই তার পাল্টা জবাবে তাদের এই বিক্ষোভ। তারা আরও অভিযোগ করেন, যেই ফার্মে আগুন লাগানো হয়েছে, সেই ফার্ম তাদের জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিলো। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের দিয়ে জোরপূর্বক জমি চাষ করিয়ে নেওয়ার পরেও মেলেনি তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক। টাকা চাইতে গেলে শিবুর লোকেরা তাদের মারধর করে বলেও অভিযোগ ওঠে শিবুদের বিরুদ্ধে।
এতদিন তারা অভিযুক্তদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। তবে, শেখ শাহজাহান বেপাত্তা হতেই তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এখন, যে কোনও প্রকারেই হোক শিবু, শাহজাহান, উত্তমদের গ্রেফতারি দাবি করছে তারা। তৃণমূল নেতা শাহজাহান চলতি বছরের ৫ ই জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ। চলতি বছরের ৫ ই জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মার খেয়ে কলকাতা ফিরেছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকেরা। সেই থেকেই নিখোঁজ শেখ শাহজাহান। গ্রামবাসীরা দাবি করছেন, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন। পুলিশ নিজে তাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। তাই তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিজেরাই পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইভিএম নিউজ