ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:আরজি কর হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজসহ বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যে গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরাও একই পথে হাঁটলেন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে তৃণমূল কংগ্রেস উসকানি হিসেবে দেখছে। শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ, যা রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
এফএমসিজি বিপ্লবঃ মুদির দোকানের ভবিষ্যৎ সংকটে?
পরিস্থিতি আরও তীব্র
এদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা একাদশীর দিনেও অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের এই আন্দোলন যাতায়াতের পথে যানজট সৃষ্টি করবে। কলকাতা পুলিশ এর আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দুর্গাপুজো হয়েছে, উৎসব নয়।” তিনি জনগণকে কার্নিভাল বয়কটের আহ্বান জানান। তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা জানিয়েছে, যাদের জনগণ বয়কট করেছে, তাদের বয়কটের আহ্বান কীভাবে কার্যকর হবে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উৎসবে ফিরুন,” এবং তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্যান্ডেলের সামনে জনসমাগমের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। বিজেপির যুব মোর্চার নেতা দেবজিৎ সাহার দুর্গাপুজোতে শুভেন্দুর যোগদান এবং মন্তব্যের পর এই পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে।
সলমনের শোক ও উদ্বেগঃ বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর কেমন আছেন ‘ভাইজান’?
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “এবারের দুর্গাপুজোতে উচ্ছ্বাস ছিল না”। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “৩১ বছরের ওই চিকিৎসকের কী দোষ ছিল?” তৃণমূল কংগ্রেসের কুণাল ঘোষ শুভেন্দুর বক্তব্যের প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, “কার্নিভাল বাংলার ঐতিহ্য। কেন এর ওপর ক্ষুব্ধ?” রাজনৈতিক এই টানাপোড়েনে এখন সাধারণ মানুষের মনোভাব এবং সরকারি চিকিৎসকদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা চলছে।