ব্যুরো নিউজ,১৮ নভেম্বর:বাংলার দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা, শুভেন্দু অধিকারী এবং অধীর চৌধুরী, মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে প্রচার করছেন। একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহারাষ্ট্রে গিয়ে বিজেপির প্রচার চালাচ্ছেন, অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।মহারাষ্ট্রে আগামী ২০ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন। সেই দিনেই ঝাড়খণ্ডেও হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষে গত রবিবার মুম্বই এবং পুণের বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির পক্ষে প্রচার করেছেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলাঃ মহম্মদ ইউনুসের দাবি, ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক কারণ
নির্বাচনী লড়াইকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে
তিনি মহারাষ্ট্রে গিয়ে বাংলার অনুপ্রবেশের সমস্যা এবং রোহিঙ্গাদের আগমন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর দাদারের বিজেপি কার্যালয়ে ‘জাগ্রত বাংলা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি এবং বাংলার মানুষের প্রতি একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া জোটকে একহাত নেন এবং তাদের পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই জোট দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।অপরদিকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা অধীর চৌধুরী ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন। তিনি এবারের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে এআইসিসি-র সিনিয়র পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কসবা এলাকায় ক্ষমতার লড়াইঃ জলাভূমি ভরাট, বেআইনি নির্মাণ কিন্তু নীরব পুলিশ
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) সঙ্গে আসন সমঝোতা এবং দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সামলানোর দায়িত্বও তার উপর। গত শনিবার ও রবিবার অধীর ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় সভা করেছেন এবং কংগ্রেসের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘যতটুকু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, ততটুকু পালন করার চেষ্টা করছি, নির্বাচন পর্যটক হয়ে লাভ নেই।’ শুভেন্দু এবং অধীরের প্রচার এবং তাদের রাজনৈতিক কৌশল বাংলার বাইরে দুটি রাজ্যের নির্বাচনী লড়াইকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।