ব্যুরো নিউজ,১৯ এপ্রিলঃ লং ড্রাইভে গেলে বাঙালির এক অব্যর্থ গন্তব্য শক্তিগড়। আর সেখানে পৌঁছনোর মানেই যেন ল্যাংচার গন্ধে মন ভেসে যাওয়া। ল্যাংচার জন্য শুধু সাধারণ মানুষ নয়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ থেকে উত্তম কুমার—অনেকে খুঁজেছেন শক্তিগড়ের দোকান। তবে আজ আর অপেক্ষা করতে হবে না ট্রিপের, ল্যাংচা এবার তৈরি করে ফেলুন আপনার নিজের বাড়িতে।
মমতার খামে রাজনৈতিক কৌশল? দিলীপের দরজায় পৌঁছল নবান্ন!
নরম মিষ্টির ঘ্রাণে ঘর ভরাতে তৈরি করুন শক্তিগড়ের স্টাইলে ল্যাংচা
বাড়িতে ল্যাংচা বানানো একেবারেই সহজ যদি ঠিকভাবে মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। চলুন জেনে নিই পদ্ধতি ও উপকরণ।
চিনির রসের জন্য:
চিনি: ৩০০ গ্রাম
জল: ২ কাপ
এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
লেবুর রস: ২-৩ ফোঁটা
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
ল্যাংচা বানানোর জন্য:
ছানা (লেবু দিয়ে কাটা): ১ লিটার দুধ থেকে
খোয়া ক্ষীর: ১০০ গ্রাম
ময়দা: ৩ টেবিল চামচ
সুজি: ১ টেবিল চামচ
চিনি: ১ টেবিল চামচ
ঘি: ১ টেবিল চামচ
এলাচ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
বেকিং সোডা: ১/৪ চা চামচ
ঘি বা তেল: ভাজার জন্য
মামতা ব্যানার্জি Waqf নিয়ে মুসল্মানদের বকা বানাছে?
প্রণালী
প্রথমে চিনির রস তৈরি করুন। সসপ্যানে জল ও চিনি একসঙ্গে বসিয়ে চিনি গলিয়ে নিন। তারপরে এলাচ গুঁড়ো ও লেবুর রস দিন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে রেখে নামিয়ে রাখুন। এ বার একটি বড় পাত্রে ছানা (জল ঝরানো), খোয়া, ময়দা, সুজি, চিনি, ঘি, এলাচ গুঁড়ো ও বেকিং সোডা দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। যত মিহি হবে, তত নরম হবে ল্যাংচা। মিশ্রণ হাত থেকে ছেড়ে এলে বুঝবেন, প্রস্তুত। হাতের সাহায্যে বল তৈরি করে ল্যাংচা আকৃতি দিন। ঘি বা তেলে গভীর ভাজুন যতক্ষণ না লালচে রং আসে। পরে গরম রসে ফেলে অন্তত এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভালো ল্যাংচার চাবিকাঠি হলো ভালোভাবে ছানা মেশানো এবং ধৈর্য ধরে রসে ভেজানো। বাড়িতে যদি একটু সময় থাকে আর ইচ্ছা থাকে শক্তিগড়ের স্বাদ আনার, তাহলে একবার এই সহজ রেসিপিটি ট্রাই করে দেখুন। আপনি বা আপনার পরিবার—সকলের মুখেই হাসি ফুটে উঠবে এক কামড়েই!