ব্যুরো নিউজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি: গত ৫ জানুয়ারী থেকে উত্তপ্ত সন্দেশখালি সংলগ্ন এলাকা। কখনো সন্দেশখালি সংলগ্ন জেলিয়াখালি তো কখনো ঝুপখালি আবার কখনো বেড়মজুড়। এই সমস্ত এলাকায় ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা।
পাকিস্তানের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ
সন্দেশখালির রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা ভুরি ভুরি অভিযোগ এনেছেন। সন্দেশখালির মা বোনদের শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, খুন, লাশ গায়েব ,মানব পাচার থেকে শুরু করে বলপূর্বক চাষের জমি কেড়ে নেওয়া ছাড়াও বহু অভিযোগের প্রতিবাদে সরব হয়ে ঝাঁটা লাঠি হাতে পথে নেমেছিলেন সেখানকার মহিলারা। শুধু তাই নয়।
শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের ৩০০ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে তাতে ভেড়ি বানানোর। এই নিয়ে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। আর আজ নতুন অভিযোগ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বেড়মজুড় এলাকা। সেখানকার গ্রামবাসীরা হামলা চালায় তৃণমূল নেতার বাড়িতেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও সন্দেশখালি পৌঁছান। তিনি বলেন, আইন হাতে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর ডিজি রাজীব কুমার কলকাতায় ফিরে আসা মাত্রই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।
অভিযোগ, পুলিশ শুধু স্থানীয়ই নয়, এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে। শুক্রবার দুপুরে মহিলারা লাঠি-ঝাঁটা হাতে নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমে পড়ে। সেখানকার মহিলাদের অভিযোগ, তাঁদের স্বামী ও ছেলেদের পুলিশ বিনা কারণে তুলে নিয়ে গিয়েছে। শুধু এতেই সীমিত নয়। রীতিমতো রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পুলিশকে বাঁধা দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা প্রতিবাদ স্বরূপ রাস্তায় বসে পড়েন। শুয়ে পড়েন মাঝ রাস্তায়। এরপর রাস্তার মাঝে গাছের ডাল জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ইভিএম নিউজ